শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে তিনি ভোট দেওয়ার জন্য এফডিসিতে প্রবেশ করেন। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘এ নির্বাচন দিয়ে চলচ্চিত্রের আমূল পরিবর্তন হবে না।’
নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে। কিন্তু গত দুই বছর বিশেষ করে এইবার প্রশাসনের এত চাপ, এত লোক দেখে মনে হচ্ছে না- উৎসবমুখর পরিবেশ আছে এখানে। এসব দেখে মনে হচ্ছে, এটা জাতীয় নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে।’
বিএফডিসির মূল ফটকে সিনিয়র শিল্পীদের প্রবেশে বাধা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘শুনলাম সোহেল রানা ভাই এবং বেশকিছু সিনিয়র শিল্পীদের গাড়ি আটকানো হয়েছে এফডিসির মূল ফটকে! তাদের সাথে কে আসছে না আসছে- এসব প্রশ্ন করা হচ্ছে। আরে ভাই, এটা আমার ঘর। নিজের ঘরে ঢুকতে বাধার মুখে পড়তে হবে কেন? এটা বিব্রতকর।’
শাকিব বলেন, ‘একটা কথা বলে রাখি, এই নির্বাচন কখনোই আমূল পরিবর্তন আনবে না আমাদের চলচ্চিত্রের। কিন্তু কেউ কেউ এই নির্বাচন করে কাজ করুক বা অকাজ করুক- নিজেদের আলোচনায় রাখতে চায়। নেতা হতে চায়। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে- এ নির্বাচন দিয়ে চলচ্চিত্রের আমূল পরিবর্তন হবে না।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ভোটারদের উপস্থিতি ও বৃষ্টির কারণে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। জানা গেছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৯০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু হবে গণনার কাজ।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেল একটি। এটি দিয়েছেন সমিতির শেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তারা দুজনে এবারও একই পদে লড়াই করছেন। অন্যদিকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কয়েকজন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। এরমধ্যে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে আছেন মৌসুমী। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের বিপরীতে আছেন ইলিয়াস কোবরা।
সহসভাপতির দুটি পদে আছেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ (স্বতন্ত্র)। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আরমান ও সাংকোপাঞ্জা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে খালেদ আহমেদ ও মামনুন ইমন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন।
এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ছাড়াই বিজয়ী হিসেবে এসেছে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদের নাম।
১১টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের জন্য লড়বেন ১৪ জন অভিনয়শিল্পী। তারা হলেন−অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, বাপ্পারাজ, মারুফ আকিব, রঞ্জিতা ও শামীম খান (চিকন আলী)।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহিদুল হারুন ও বিএইচ নিশান। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন আলম খান, সদস্য হিসেবে রয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান ও রশিদুল আমিন হলি।
এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটার সংখ্যা ৪৪৯ জন।
নির্বাচনী চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বিদায়ী পরিষদ নবনির্বাচিত পরিষদকে দায়িত্ব অর্পণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ছবি: ওয়ালিউল বিশ্বাস