নাট্যমঞ্চে দুখুমিয়া ও লেটো গান

মহড়ায় সংশ্লিষ্টরাএবার নাট্যমঞ্চে উঠে আসছে ঐতিহাসিক বঙ্গভঙ্গ লেটো গানের দল আর দুখুমিয়া-খ্যাত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
নাটকের নাম ‘আকাসে ফুইটেছে ফুল- লেটো কাহন’। এটি মঞ্চে আনছে নাগরিক নাট্যাঙ্গন।
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতজন তরুণ নির্দেশকের নাটক নিয়ে ‘নতুনের উৎসব ২০১৯’ শিরোনামে এক নাট্যোৎসব আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় এটি চলবে। তারই অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে ‘আকাসে ফুইটেছে ফুল- লেটো কাহন’-এর।
ড. রতন সিদ্দিকীর রচনায় এটি নির্দেশনা দিয়েছেন হৃদি হক।
নির্দেশক হৃদি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা নিয়ে এটি নির্মিত। আপাতত রিহার্সেল নিয়েই আমরা ব্যস্ত। এটি আমাদের ২৬তম প্রযোজনা।’
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, একটি লেটো গানের দল আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে রাখে চুরুলিয়া-আসানসোল। এরইমধ্যে একদিন ঘোষিত হয় বঙ্গভঙ্গ। বিভক্ত হয় বাংলা। জন্ম হয় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের।
ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে ও বিরোধে জড়িয়ে যায় বাঙালি হিন্দু-মুসলমান। বিষাক্ত হয়ে ওঠে কলকাতা, ঢাকা, বর্ধমান। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত হাজার বছরের বাঙালি বিস্মিত। ১৯১১ সালে প্রাণান্তকর চেষ্টায় রোহিত হয় বঙ্গভঙ্গ। স্বস্তির বাতাস বয়ে যায়। কিন্তু ততোদিনে গায়কের অভাবে লেটোর দল বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনি ক্রান্তিকালে লেটোর দলে যুক্ত হয় চুরুলিয়ার হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে দুখুমিয়া। তার গায়কি দক্ষতায় পুনরায় জেগে ওঠে লেটোর দল। মেতে ওঠে চুরুলিয়া-আসানসোলের প্রান্তিক মানুষ।
এটাই হচ্ছে ‘আকাসে ফুইটেছে ফুল- লেটো কাহন’।
লেটো গান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে প্রচলিত এক প্রকার লোকসংগীত। এটি যাত্রাগানের প্রকারভেদ। যাত্রাগানের মতোই পালার আকারে রচিত এ গান নৃত্য ও অভিনয়সহ পরিবেশন করা হয়; সঙ্গে থাকে বাদকদল।