দেখা যাবে আলোচিত অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘টুমরো’

‘টুমরো’র একটি দৃশ্যে রাতুলটেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির জন্য দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হলো অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘টুমরো’।
চ্যানেলটি জানায়, আজ (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় এটির বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে চ্যানেলটির পর্দায়। পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় এটি পুনঃপ্রচার করবে তারা। এছাড়া পরবর্তী আরও তিন সপ্তাহ শুক্রবার সন্ধ্যা ও শনিবার দুপুরে এটি দেখানো হবে।
২৫ মিনিটের এ স্বল্পদৈর্ঘ্যে তুলে ধরা হবে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন।
নির্মাতার ভাষ্যমতে, এ ধরনের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে নির্মিত এটাই প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়েছে ‘টুমরো’র নির্মাণযজ্ঞ। চলতি বছরের জুলাই মাসে এটির কাজ শেষ হয়।
এ ছবিটি প্রযোজনা করছে দীপ্ত টিভি। চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে সাইকোর স্টুডিওতে।
নির্মাতা শিহাব উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীপ্ত টিভি থেকেই প্রথমে এমন প্রস্তাব আসে। তারা চাইছিলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখোমুখি হবে তা তুলে ধরতে। এটা গুরুগম্ভীর বিষয়। সেটাকে শিশুদের উপযোগী করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা।’
কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসানের প্রযোজনায় এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন যৌথভাবে নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক।
এতে দেখানো হবে, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ; ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ঙ্কর। সেই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। যে রাতুল এতদিন প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেছে সেই রাতুলই এবার ভার নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলাবার।

তার সঙ্গী হয় পৃথিবীজুড়ে থাকা হাজারও শিশু-কিশোর। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জনমত। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর করারোপসহ আরও এমন কিছু করে রাতুলেরা, যাতে পৃথিবীর এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠে।
দীপ্ত টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের অভিমত, ‘টুমরো’র মূল উদ্দেশ্য শিশু-কিশোরদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটকে তুলে ধরা।