জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্বেগ জানিয়ে পামেলা বলেন, ‘দিল্লির মারাত্মক বায়ুদূষণে আক্রান্ত সবার জন্য মনটা খারাপ। শহরটির বাসিন্দাদের মতো প্রাণীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে, যারা মুখোশ পরতে কিংবা ভেতরে থাকতে পারে না।’
প্রাণী অধিকার সুরক্ষার সংগঠন পেটার (পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস) সাম্মানিক পরিচালক পামেলা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, মানুষের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ২০ শতাংশই দুগ্ধ, মাংস ও ডিমের জন্য পশুপালন দায়ী।
পামেলা লিখেছেন, ‘ভারতের উদ্ভাবন ও কৃষির ইতিহাস বলছে, দেশটিতে উৎপাদিত সয়া ও অন্যান্য বৈচিত্র্যময় খাবার সহজেই এসব ক্ষতিকারক খাবারের বিকল্প হতে পারে।’
ভারত নিরামিষভোজী হওয়ার সবচেয়ে সহজ জায়গা মনে করেন পামেলা। দেশটিতে রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সেই স্মৃতি হাতড়ে তার মন্তব্য, ‘এখনও জাফরান ভাতের সুন্দর রঙ ও ভেজিটেবলস বিরিয়ানির লোভনীয় সুঘ্রাণের কথা মনে পড়ে। ভারতীয় এসব খাবার এককথায় চমৎকার।’
‘বেওয়াচ’ তারকা মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিবেশের সুরক্ষায় গোটা বিশ্বকে নিরামিষ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খাওয়ার ফলে প্রাণীরা কসাইখানায় বেদনাদায়ক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা তো পায়ই, একইসঙ্গে মাংস ও দুগ্ধ গ্রহণের কারণে ডায়াবেটিস, কোলন ও স্তন ক্যান্সার এবং হৃৎপিণ্ডে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস হয়।
কয়েক বছর ধরে নিরামিষের জয়গান গাইছেন পামেলা। প্রাণীদের ব্যবহার করে বানানো পণ্য ও খাবার এড়িয়ে চলতে পেটার প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায় তার।
গত বছর ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পামেলা দাবি করেন, অল্প বয়স থেকেই মাংস ভক্ষণ বাদ দিয়েছেন তিনি। তার বাবা ছিলেন শিকারি। একদিন ঘরের বাইরে একটি মুণ্ডুহীন মৃত হরিণ দেখেন ছোট্ট পামেলা। এরপর কয়েকদিন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এরপর থেকে নিরামিষভোজী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৫২ বছর বয়সী এই তারকা। একইসঙ্গে বাবাকে শিকারের পথ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস