এমন অবস্থার বিপরীতে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বেশ ব্যতিক্রম। তবে একা নন, তার সঙ্গে আছেন একদল হুইলচেয়ার যোদ্ধা! ‘টুগেদার উই ক্যান’ শিরোনামে এক হয়ে যারা তুলে আনছেন সত্য ঘটনা অবলম্বনে কিছু নির্যাতনের গল্প।
চতুর্থবারের মতো তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটবে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে।
এদিন সন্ধ্যায় নওশাবা দর্শকদের সামনে মঞ্চে তুলে ধরবেন ‘মুক্তি আলোয় আলোয়’ নামের পুতুলনাট্য।
নওশাবা জানান, মূলত শৈশব থেকে নির্যাতনের শিকার এক কিশোরী মেয়ের (রত্না) জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাটকটি রচিত হয়েছে। রত্না এখন হুইলচেয়ার বাস্কেটবল দলের সদস্য। নওশাবার মূল ভাবনা ও নির্দেশনায় পুতুলনাট্যটির চিত্রনাট্য ও সংগীত পরিচালনা করেছেন এজাজ ফারাহ্। পুতুলের মাধ্যমে এটি মঞ্চে পরিবেশন করবেন পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসারত একদল হার না মানা তরুণ-তরুণী, যাদের নওশাবা মনে করেন হুইলচেয়ার যোদ্ধা।
কাজী নওশাবা আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই হুইলচেয়ার যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করেছি আমি। এর ফলে একদিকে যেমন তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, পাশাপাশি তারাও যে শিল্পসমাজে নিজেদের প্রতিভা আর জীবনের গল্প তুলে ধরতে পারে, সেটিও সবাই জানলো। আমাদের হুইলচেয়ার পাপেট শিল্পীরা আপনাদের মুগ্ধ করবে, ভাবাবে। এটুকু বিশ্বাস রাখুন।’
এই শোয়ের প্রবেশমূল্য রাখা হচ্ছে ২০০ টাকা। যা শো শুরুর আগে শিল্পকলা একাডেমি থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
শিশুদের জন্য নির্মিত তুমুল জনপ্রিয় পাপেট শো ‘সিসিমপুর’-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ। ফলে পাপেটের সঙ্গে তার সখ্য বেশ পুরনো। তাই পুতুল/পাপেট আর সুবিধাবঞ্চিত হুইলচেয়ার যোদ্ধাদের নিয়ে সমাজের জন্য কিছু করতে চাইছেন এই অভিনেত্রী।