বিশ বিশেষ

বিশ্বাস, আলো আসবেই

নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে দশ-এর দশক শেষ হলো (২০১০-২০১৯)। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এটি মূলত শূন্যতার দশক। দশে ধ্স—এভাবেও বলছেন কেউ কেউ। তবে শুরু হওয়া নতুন বছর কিংবা বিশ দশক (২০২০-২০২৯) নিয়ে প্রত্যাশার গল্পও শোনাচ্ছেন অনেকে। বিশে বিষক্ষয়—এভাবেও মূল্যায়ন করছেন কেউ কেউ। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাদের কণ্ঠে হতাশার সুর। বলছেন—দশক কিংবা নতুন বছর বলে কথা নয়। ক্যালেন্ডার বদলালেও কাজের পার্থক্য ১৯/২০! মানে সামান্যই।

‘দশে ধ্স’ আর ‘বিশে বিষক্ষয়’ অথবা ‘১৯/২০’ বিষয়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন বিভাগের উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরলেন বাংলা ট্রিবিউন-এর বিশেষ এই আয়োজনে।

জিয়াউল রোশানসবাই বলছেন ২০১৯ সালটা বেশ খারাপ গেছে। তবে কার কেমন গেছে সেটা হয় তো আমার বিবেচনার সুযোগ কম। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, গেল বছরটি আমার জন্য খুবই খারাপ গেছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সারা বছরে আমার মাত্র একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে! সেটি হলো ‘বেপরোয়া’। তাহলে বুঝুন ২০১৯ আমার জন্য কতটা খারাপ বছর ছিল। আবার এটাও ঠিক, সংস্কৃতির সব সেক্টরের প্রতিটি মানুষই চেয়েছে ভালো কিছু করার। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটার ফলাফল তো সবসময় ঘরে নাও আসতে পারে। ২০১৯ আমাদের জন্য তেমনই এক নিষ্ফলা বছর।
তবে আশার কথা হলো, ২০২০ শুরু হওয়ার আগেই আমি টের পাচ্ছিলাম ভালো কিছুর। মন বলছে, এই বছরটা হবে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য বিজয়ের একটা বছর।
২০ সাল শুরুর আগেই আমি পাঁচটি ভালো ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। এরমধ্যে রয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘জ্বীন’, ‘মেকআপ’ ও ‘ওস্তাদ’। প্রতিটি ছবি ২০ সালের জন্য তৈরি হচ্ছে। কথায় আছে না-  মর্নিং সোজ দ্য ডেজ। বারবার মনে হচ্ছে, নতুন বছরটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলো। কারণ, চারপাশে প্রচুর ভালো ছবির গল্প শুনছি।
আরও একটি ভালো খবর কানে আসছে, এই বছর সারাদেশে অনেক সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। একদিকে ভালো ভালো সিনেমার প্রস্তুতি, অন্যদিকে সিনেপ্লেক্স গড়ার খবর। আমি তো খুবই আশাবাদী।
সেই আশা নিয়েই বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করেছি।
বিশ্বাস, আলো আসবেই।
শ্রুতিলিখন: মাহমুদ মানজুর