বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বাসুদেব স্মরণে...

বাসুদেব ঘোষসদ্য প্রয়াত সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ স্মরণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশন।
আজ (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এই স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন সংগীতাঙ্গনের অনেকেই। মুখর হবেন স্মৃতিচারণে।
এদিন বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আয়োজনটি প্রসঙ্গে লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘এমন একজন অসাধারণ সংগীতপ্রাণ অল্প বয়সে চলে যাওয়ায় বাংলা গানের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। অদ্ভুত সারল্যে ভরপুর একজন প্রকৃত শিল্পী ছিলেন তিনি। আমরা তার কাজগুলোর প্রকৃত মূল্যায়নে কিছু পদক্ষেপ নিতে চাই। সেজন্যই আমাদের এই আয়োজন।’
গত শতাব্দীর শেষ দশকে এ দেশের শুদ্ধ সংগীত চর্চায় নতুন ধারার সূচনা করেন বাসুদেব ঘোষ। সেই থেকে তার হাত ধরে বহু শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে সংগীতাঙ্গনে।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক ছিলেন।
মূলত ১৯৯৫ সাল থেকে কাজ শুরু করেছেন বাসুদেব। তার সুরে অন্যতম গানের মধ্যে রয়েছে ‘তোমার ঐ মনটাকে একটা ধুলোমাখা পথ করে দাও’, ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘আমি খুঁজে বেড়াই আমার মা’, ‘এই করে কেটে গেল ১২টি বছর’, ‘দেহ মাদল’ প্রভৃতি।
২০১১ সাল থেকে তিনি অনেকটা নিভৃতে নিজ উদ্যোগে কাজ করছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দেশাত্মবোধক গানের অ্যালবাম নিয়ে। এক হাজারটি দেশের গান নিয়ে সাজানো এই অ্যালবামে নাম রেখেছিলেন ‘সূর্যালোকে শাণিত প্রাণের গান’। যাতে এর মধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন শতাধিক শিল্পী। গান রেকর্ড করেছেন প্রায় আড়াইশটি।
অন্যদিকে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২০টি গান তৈরি করছিলেন বাসু দেব ঘোষ। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন সুমনা বর্ধন, সজল দাশ, পিন্টু ইসলাম, গোল্ডেন মণ্ডল, আশিষ সরকার, রুবেল রহমান প্রমুখ।
গেল ২৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বাসুদেব ঘোষ। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।