গত বছরের এমন খবরের পর মাঝে লম্বা সময় চুপচাপ। উজ্জ্বল ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তার মুক্তি প্রতীক্ষিত নতুন ছবি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ নিয়ে। তবে ‘পাফ ড্যাডি’র স্থিরতায় নতুন বাতাস লাগে গেলো দুদিন ধরে। শুরু হয় শুটিং। চরিত্রগুলো একই, তবে বড় খটকার জন্ম দেয় নির্মাতার চেয়ার নিয়ে। কারণ, এবার সেই চেয়ারে উজ্জ্বল নয়, দেখা মিলছে অন্য কারও!
জানা গেছে, বিরতি শেষে সিরিজটির এই পর্যায়ের শুটিং করছেন তরুণ নির্মাতা-অভিনেতা সহিদ উন নবী!
শুরু হয়েছে ২৩ জানুয়ারি থেকে। আজ (২৬ জানুয়ারি) সিলেটে হচ্ছে ‘পাফ ড্যাডি’র কাজ। শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন পরীমনি, সজলসহ অন্যান্য শিল্পী।
উজ্জ্বল জানান, ১০ পর্বের এই সিরিজের প্রায় পুরোটাই শেষ করেছেন তিনি। বাকি শুধু প্যাচওয়ার্ক। এরমধ্যে ৯ পর্ব জমাও দিয়েছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বঙ্গ’র কাছে।
তাহলে শুধু ১০ ভাগের প্যাচওয়ার্কের জন্য কেন নির্মাতা বদল! কেনই বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দুদিন ধরে সংশ্লিষ্টরা শেয়ার করছেন, ‘পাফ ড্যাডি- আ ওয়েব সিরিজ বাই সহিদ উন নবী’! তবে কি নতুন করে পুরো সিরিজ শুট হচ্ছে? নাকি এসবের পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিলো কলাকুশলীদের কাছে। অনেকেই প্রশ্নটি ‘ফরোয়ার্ড’ করেছেন পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবিডির দিকে।
বিষয়টি নিয়ে সহিদ উন নবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা আসলে পুরোপুরি বঙ্গবিডির বিষয়। তাদের অ্যাসাইনে আমি যুক্ত হয়েছি। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ২০-৩০ শতাংশ কাজ করেছেন। যা আসলে সেভাবে কিছু হয়নি। তাই সেখান থেকে কিছু ফুটেজ রেখে বাকি পুরোটাই নির্মাণ আমি করছি।’
নবী জানান, আগে ১০ পর্বের নির্মাণ হওয়ার কথা হলেও এখন তা ৭ পর্বে শেষ করা হবে।
এর বিপরীতে উজ্জ্বলের ভাষ্য এমন, ‘আমি যা বলছি কাগজে-কলমে কথা বলছি। আমার কাছে ৯ পর্ব হ্যান্ডওভারের ডকুমেন্টস আছে। শুধু তা-ই নয়, এই কাজের পুরো মেধাস্বত্ব আমার। আমি ছাড়া, এর কোনও অস্তিত্ব নেই। বাকিটা সময় বলে দেবে।’
কিন্তু যেটুকু করেছেন, সেটুকুও তো কিছু হয়নি—বলছিলেন নবী। জবাবে উজ্জ্বল স্থিরকণ্ঠে এটুকুই বললেন, ‘এসব মেধাহীনদের কাছ থেকে ভব্যতা আশা করার কোনও মানে হয় না। আমি তো যার-তার সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে পারি না। তাই আর বাড়ালাম না।’
এই সিরিজের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম। আর পরীমনিকে দেখা যাবে ‘টিনা’ নামের এক চিত্রনায়িকার চরিত্রে।
পুরনো তথ্য হিসেবে এতে আরও অভিনয় করছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুজ্জামান সেলিম, বিজরী বরকতুল্লাহ, ইন্তেখাব দিনার, মৌটুসী বিশ্বাসসহ মোট ৬২ জন অভিনয়শিল্পী।
সিরিজটি সম্পর্কে এর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল গেলো বছর বলেছিলেন, ‘এটি পলিটিক্যাল থ্রিলার ঘরানার কাজ। তবে পলিটিক্স এখানে সরাসরি থাকছে না। আছে প্রচ্ছন্নভাবে। ক্ষমতা, আসক্তিসহ বিভিন্ন থ্রিলিং উপাদান রয়েছে এতে।’