কার্ক ডগলাসের ছেলে অস্কার জয়ী অভিনেতা মাইকেল ডগলাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, কার্ক ডগলাস আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বিশ্বের কাছে তিনি ছিলেন কিংবদন্তি, চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের একজন অভিনেতা। তার অভিনয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমার দুই ভাই জোয়েল ও পিটার আর আমার কাছে তিনি সাধারন একজন বাবা। তিনি ছিলেন ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার ও জনদরদি। তার গত জন্মদিনে তাকে যা বলেছিলাম সেটাই চিরকালের সত্য- তোমাকে অনেক ভালোবাসি এবং তোমার ছেলে হয়ে আমি গর্বিত।’
চল্লিশের দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে কালজয়ী অভিনয় নেপুণ্য দেখিয়েছেন কার্ক ডগলাস। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্ট্যানলি কুবরিকের ষাটের দশকের ধ্রুপদী ছবি ‘স্পার্টাকাস’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এটি চারটি বিভাগে অস্কার জেতে। এ ছবির সংলাপ ‘আই অ্যাম স্পার্টাকাস’ তো পপ সংস্কৃতির অভিধানে ঢুকে পড়েছে।
কার্ক ডগলাসের মৃত্যুতে হলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান, ড্যানি ডেভিটো, ব্রায়ান ক্র্যানস্টন, অভিনেতা-পরিচালক রব রেইনার, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, জেমি লি কার্টিস, মিৎজি গেইনর।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল তারকাদের অন্যতম ছিলেন কার্ক ডগলাস। ক্যারিয়ারে ৯০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় আরও উল্লেখযোগ্য ‘এইস ইন দ্য হোল’, ‘অ্যাক্ট অব লাভ’, ‘টু থাউজেন্ড লিগ আন্ডার দ্য সি’ ইত্যাদি। ১৯৯৬ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের সম্মানসূচক অস্কারে ভূষিত হন তিনি।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া