১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ৫০তম প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে বেইলী রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে, যেখানে এই নাটকের প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিলো চার বছর আগে।
এটি বটতলার নবম প্রযোজনা। শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস থেকে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নিত্রা। নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।
দেশ ও দেশের বাইরে ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকের ৪৯টি প্রদর্শনী হয়েছে সফলতার সঙ্গে। বাংলাদেশের অনেক অজানা রাজনৈতিক ইতিহাস নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে ‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে নাটকটি মঞ্চে আনে বটতলা। অল্প সময়ের মধ্যে এটি আলোচনায় চলে আসে।
‘ক্রাচের কর্নেল’ হলো স্বাধীনতাযুদ্ধে পা হারানো এক কর্নেলের জীবনের গল্প। কর্নেল আবু তাহের। এই কর্নেলের নাম ও সাতই নভেম্বর, ১৯৭৫ সালের সিপাহি বিপ্লবে তাঁর ভূমিকার এক অস্পষ্ট ও রহস্যময় গল্প সবার জানা। তবে সিপাহি বিপ্লবের প্রকৃত রূপটা কী? কেন সিপাহি বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল? না জানা অনেক বিষয়ের বিশ্লেষণাত্মক উপস্থাপনা এবং ইতিহাসের অলিগলিতে বিচরণ করার মাধ্যমে বটতলা উন্মোচন করতে চেয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অস্থির সময়কে।
‘ক্রাচের কর্নেল’ নাটকের নির্দেশকের ভাষায়, নাটকটি এক বা একাধিক স্বপ্নবাজ মানুষের গল্প। একটি সময় ও দুঃসময়ের গল্প। একটি স্থানের ও কালের গল্প হয়েও যা কেবল একটি স্থান ও কালের গল্প নয়। আর লেখক শাহাদুজ্জামান লিখেছেন, ‘ক্রাচের কর্নেল যখন লিখেছি, তখন এর মঞ্চ সম্ভাবনার কথা ভাবিনি। এই প্রামাণ্য উপন্যাসে যে ব্যাপক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও অগণিত চরিত্র জটিল, সর্পিল রাজনৈতিক ঘটনাবলির বয়ান আছে, তাকে মঞ্চের ভাষায় তুলে আনা এক দুরূহ কাজ বলে মনে হয়েছে।’
‘ক্রাচের কর্নেল’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা, কাজী রোকসানা রুমা, ইমরান খান মুন্না, তৌফিক হাসান, ইভান রিয়াজ, ম সাইদ, এম আই রনি, পঙ্কজ মজুমদার, নাফিউল আহমেদ ও মাহবুব মাসুম।