উৎসবের ‘ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রি’ বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র ছাড়াও ‘রিভোল্ট’ এর জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন- অপরাজিতা সংগীতা (পরিচালক), শাহাদাত রাসএল (স্ক্রিনপ্লে), এল অপু রোজারিও (সিনেমাটোগ্রাফি), সামির আহমেদ (সম্পাদনা), ওভারঅল কমপ্যাক্ট প্রোডাকশন (ক্রিয়েটিভ প্রমোশনস), নাইমা জারিফ (টাইটেল ডিজাইন), জিসা ক্রিস্টোফার (ভিএফএক্স) এবং ওভারঅল অ্যাকটিংয়ে সানজিদা প্রীতি, জুলফিকার চঞ্চল, বৈদ্যনাথ অধিকারী, ইরফান, দাউদ নূর, রিগান সোহাগ রত্ন, মিঠা মামুন, ডালিম ঢালি, আনোয়ার আনার ও ইফতেখার আহমেদ বাবু।
অপরাজিতা সংগীতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার সিনেমা বিদেশে মূল্যায়িত হচ্ছে, এটা ভীষণ আনন্দের। তবে এই আনন্দ আমার একার নয়। এই অর্জন পুরো টিমের।’
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত ১৫তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব-এর মূল পর্বে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার হয় ছবিটির। এরপর চলচ্চিত্রটি দেশ-বিদেশের অনেকগুলো ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। মিলেছে প্রশংসা।
ক্রিয়েটিভ প্রমোশনসের ব্যানারে নির্মিত ‘রিভোল্ট’ চলচ্চিত্রের গল্প প্রসঙ্গে পরিচালক অপরাজিতা সংগীতা বলেন, ‘‘নারী ও তার যাপিত জীবনের বাক-স্বাধীনতাহীন বাস্তবতার গল্প ‘রিভোল্ট’। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর জীবন ও কণ্ঠকে সীমাবদ্ধ করে দেয়ার চেষ্টা আছে। নারীর চলার পথ যখন রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, নারী হয় বৃত্তবন্দী, তখন বৃত্তটাকে ভেঙে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।’’
ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করা অপরাজিতা চলচ্চিত্র নির্মাণের হাতেখড়ি চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেলের কাছে। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকেও। অপরাজিতা পেশায় একজন স্বাধীন ফটোগ্রাফার। চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘নির্মাতা বা ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে নারী বলেই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। এবং আমি সেটা আনন্দ নিয়েই করি।’
তার মতে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে বা রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথা বলার চেয়ে প্রতিবাদের জন্য আমার কাছে চলচ্চিত্রটাকেই যৌক্তিক মাধ্যম বলে মনে হয়। তাই আমার ইচ্ছা স্বল্পদৈর্ঘ্যের পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ।’
‘রিভোল্ট (দ্রোহ)’ অপরাজিতা সংগীতার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ। প্রথমটির নাম ‘পুরুষাতঙ্ক’।