রোজ দুপুরে অসহায় কুকুরদের পাশে জয়া আহসান!

জয়াাাাসিনেমার বাইরে জয়া আহসানের জীবনের বেশিরভাগ অংশজুড়ে রয়েছে তার পরিবার। মা, ভাই ও বোনের পাশাপাশি যে পরিবারের অন্যতম অংশজুড়ে রয়েছে পোষা কুকুর ক্লিওপেট্রা।

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এ সম্পর্কে জয়ার ফলোয়ারেরা ভালোই অবগত। শুধু ক্লিওপেট্রাই নয়, যেখানে নিয়মিতই প্রকাশ পায় জগতের সকল অসহায় প্রাণীর প্রতি এই অভিনেত্রীর অগাধ টানের প্রতিচ্ছবি।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকায় নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই বাংলার শীর্ষ এই অভিনেত্রী। সময়টা ভালোই কাটছিল ক্লিওপেট্রার সঙ্গে দুষ্টুমি আর নিজেদের ছাদবাগানের যত্ন নিয়ে। তবে গেল সপ্তাহে তিনি নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়লেন রাজপথে থাকা অসহায় কুকুরদের কথা ভেবে।
খবর পেলেন, চলমান লকডাউনের কারণে সড়কের কুকুরগুলো পাচ্ছে না পর্যাপ্ত খাবার। ব্যস, কোয়ারেন্টিনের চার-দেয়াল মাথা থেকে মুছে ফেললেন। ঢুকে গেলেন রান্নাঘরে। নিজেই তৈরি করলেন ভাত আর মুরগির ঝোল। মাস্ক আর গ্লাভস পরে খাবারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসার সহযোগীকে নিয়ে ছুটলেন নগরীর দিলুরোড, ইস্কাটন গার্ডেন ও মগবাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে। ২৭ মার্চ দুপুরের ঘটনা এটি। পরম আনন্দ নিয়ে নিজ হাতে খাওয়ালেন ২৫ থেকে ৩০টি কুকুরকে।
এরপর থেকে টানা পাঁচদিন জয়া আহসান একইভাবে একই স্পটে একই সময়ে ছুটেছেন খাবার নিয়ে। জানা গেছে, এভাবেই ছুটবেন লকডাউনের দিনগুলোতে।
না, এই বিষয়ে টু-শব্দটিও করতে নারাজ জয়া আহসান। সরাসরি বললেন, ‘নো কমেন্টস।’


তবে উপরের তথ্যগুলো বিস্তারিত জানা গেল তার ভাই অদিত মাসউদের সঙ্গে আলাপ করে। অদিত জানান, তিনি নিজেও জানতেন না ঘটনাটি। তবে আজ (৩১ মার্চ ) বাসার গৃহপরিচারিকার কাছ থেকে তিনি এই খবরটা ও ছবিগুলো পেয়েছেন। বোনের এমন উদ্যোগে দারুণ খুশি হয়েছেন। কারণ, মানুষের পাশে অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু এই অসহায়-অভুক্ত কুকুরগুলোর পাশে তো তেমন কেউ নেই।
আবার এই করোনাকালে বোনের এমন বেরিয়ে পড়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তাও রয়েছে অদিতের মনে। বলছেন, ‘খানিক ঝুঁকি তো থাকছেই। ও নিশ্চয়ই সচেতনভাবেই কাজটি করছে। মানুষকেও বাঁচতে হবে, পশু-পাখিদেরও বাঁচাতে হবে। সবাই মিলেই তো পৃথিবীটা সুন্দর।’