কানে উৎসব না হলেও সাগরপাড়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ হয়নি! স্থানীয়রা সৈকতমুখো কার পার্কিংয়ে বড় পর্দায় ছবি দেখাচ্ছেন দর্শকদের। সবাই গাড়িতে বসেই ‘কান সিনো-ড্রাইভ’ শীর্ষক এই আয়োজন উপভোগ করছেন। কেউই বের হন না। আর সবার মুখে থাকে মাস্ক।
রোজ সন্ধ্যা গড়ানোর সঙ্গে দর্শকরা তাদের গাড়ি ও পরিবার নিয়ে সৈকতে চলে আসেন। সিনেমা হলের আবহ ধরে রাখতে তারা হাতে রাখেন পপকর্ন। পরিবারের শিশুরা জানালা দিয়ে মাথা বের করে। সোনামণিদের জন্য এক সন্ধ্যায় দেখানো হয়েছে স্টিভেন স্পিলবার্গের আশির দশকের ধ্রুপদী ‘ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’।
ফ্রান্সে এখনও সতর্কতা হিসেবে সিনেমা হল, থিয়েটার ও রেস্তোঁরা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পাম গাছে সমৃদ্ধ কানে খোলা আকাশের নিচে প্রাণজুড়ানো পরিবেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রশান্তি এনে দিয়েছে স্থানীয়দের মনে।
পার্কিংয়ে প্রতিদিন ৫১টি গাড়ি আসতে দেওয়া হয়। এক এক করে প্রতিটি গাড়ি সৈকতে এসে হাজির হয়। আয়োজকদের কর্মীরা সবাই ফেস-শিল্ড পরে প্রতিটি গাড়ির টিকিটের বারকোড স্ক্যান করেন।
আরোপিত অবরোধের (লকডাউন) পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে ভবনের দেয়ালে কিংবা বিলবোর্ডে কিংবা খোলা জায়গায় দর্শকদের বিনোদন দিতে ড্রাইভ ইন মুভি চলছে। দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের উপকূলীয় অঞ্চলে লাগলো সেই হাওয়া।
কানের মেয়র ডেভিড লিসনার্ড বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র আমাদের এই শহরের আরাধনা। তাই আমরা উৎসবটি মিস করছি।’
কান স্থগিত করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৯৩৯ সালে প্রথম আসরে ‘হাঞ্চব্যাক অব নটর ডেম’ প্রদর্শনের পরদিন উৎসবটি বাতিল করা হয়। কারণ, ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ডে হামলা চালায় হিটলার বাহিনী। এ কারণে ১৯৪৬ সালকে ধরা হয় কানের প্রথম আসর। এছাড়া ১৯৬৮ সালের মে মাসে ফ্রান্সজুড়ে ছাত্র-শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ব্যাহত হয় কান উৎসব।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স