লম্বা এক শ্বাস নিয়ে বললেন, ‘শুভ সকাল। টানা সাড়ে চার মাস লন্ডনে আটকে থাকার পর অবশেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে পৌঁছে গেলাম! নিজেকে প্রচণ্ড হালকা লাগছে।’
বিষয়টি এমন নয়, দেশের অন্যতম এই শিল্পী যুক্তরাজ্যে জিম্মি ছিলেন! বরং গেলো ২৭ ফেব্রুয়ারি একমাত্র মেয়ে আনমলের সঙ্গে অবকাশ যাপনের জন্যই আনন্দচিত্তে ঢাকা থেকে উড়ে যান ফাহমিদা নবী।
যাওয়ার আগে বলেন, ‘জীবনে বহুবার লন্ডনে গিয়েছি। তবে সেসব ছিল গাওয়ার জন্য। এবার যাবো শুধুই বেড়াতে। সেখানে আমার অনেক স্বজন আছেন। মেয়েকে নিয়ে সবার বাসায় বেড়াবো আর সুন্দর সুন্দর স্থানে ঘুরে বেড়াবো টানা একমাস। দেশে ফিরবো মার্চের মধ্যেই। কারণ, দেশ ছেড়ে আমি আবার বেশিদিন স্থির থাকতে পারি না।’
ফাহমিদা নবী বলেন, ‘এতোটা খারাপ লাগতো না। যদি সেখানে ঘরবন্দি না হতে হতো। একদিকে ভিনদেশ। অন্যদিকে টানা প্রায় সাড়ে চার মাসই সেখানে ঘরবন্দি! ভাবা যায়? এটা ঠিক, সঙ্গে আমার সন্তান ছিল। ওকে সময় দিতে পেরেছি। তবুও, শ্বাস নেওয়ার জন্যও তো একটু দরজাটা খোলা লাগে। গেলাম ঘুরে বেড়াতে মেয়েকে নিয়ে, লন্ডনে পা ফেলতেই সব লকডাউন। তাছাড়া দেশ ছেড়ে তো আমি কখনও এতো লম্বা সময় কোথাও ছিলাম না। জীবনটাকে এই যাত্রায় নতুন করে অনুভব করার সুযোগ হলো।’
ফাহমিদা নবী আরও জানান, এবার লন্ডনে যাওয়ার পর মেয়ে ও ছোট বোনকে নিয়ে প্রথম কিছুক্ষণের জন্য রেস্তোরাঁয় জান দুদিন আগে, মানে ১৬ জুলাই! সেটিও দেশে ফেরা উপলক্ষে।
উল্লেখ্য, গত ভালোবাসা দিবসে ‘তুমিহীন’ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘একুশ আমার’ শিরোনামে দুটি নতুন গান প্রকাশ করেন ফাহমিদা নবী। গান দুটির জন্য ভক্ত-শ্রোতাদের কাছ থেকে এখনও ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তিনি।