শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চেপে যশোরের উদ্দেশে উড়াল দিলেন নির্মাতা রায়হান জুয়েল, নায়িকা পরীমনি, নায়ক সিয়াম আহমেদসহ বড় একটি দল। যশোর থেকে তাদের গন্তব্য খুলনা।
রায়হান জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৫ দিনের সফরে বেরিয়েছেন তারা। এ সময় শুটিং করবেন খুলনার বেশক’টি নদী অঞ্চলে। সেখান থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরে ১১ তারিখ থেকে আরও কয়েকদিন শুট করবেন সদরঘাট অঞ্চলে।
বলা দরকার, গত ১৪ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভাড়া করা আস্ত একটি লঞ্চ নিয়ে শুটিংয়ে গিয়েছিলে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম। মূল শিল্পী ছাড়াও একঝাঁক শিশু ছিল তাদের সঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, ঢাকা টু সুন্দরবনের এই জলভ্রমণের মাধ্যমে টানা ২৫ দিনে শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরবে লঞ্চটি।
পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল শতভাগ কাজ শেষ করেই ঢাকায় ফেরার। তবে তা হয়নি। করোনার প্রাদুর্ভাব এবং প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ৮ দিনের শুটিং বাকি রেখেই লঞ্চটিকে ফিরে আসতে হলো সদরঘাটে।
এই ৮ দিনের শুটিং শেষ করার কথা ছিল সদরঘাট এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। লকডাউনের সময় এমনটাই জানিয়েছিলেন নির্মাতা রায়হান জুয়েল।
তবে সেই পরিকল্পনা পাল্টে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম বিমানযোগে উড়াল দিলো খুলনায়।
এদিকে লঞ্চ থেকে বিমানে চেপে কেমন লাগছে—এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জোশ। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর খাঁচা থেকে মুক্তি পেলাম, আকাশে ওড়ার সুখ পেলাম! মুক্ত বিহঙ্গ। তারচেয়ে বড় বিষয় কাজে ফেরা। অসাধারণ একটা টিম পেয়েছি। এই টিমের সঙ্গে কাজ করেও প্রশান্তি পাই। কারণ, এই টিমে অনেকগুলো জানবাচ্চা আছে আমার। ওদের সঙ্গে আবার মেতে ওঠার সুযোগ পেলাম।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গ।
এর অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম কচি খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক শিশুশিল্পী।