গত মার্চে সদরঘাট থেকে শুরু হয় সরকারি অনুদান পাওয়া শিশুতোষ ছবিটির শুটিং।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) শেরপুর জেলার বিভিন্ন লোকেশনে একটি গানের দৃশ্যধারণের মাধ্যমে এর পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল চূড়ান্ত প্যাকআপ ঘোষণা করেন।
বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে পরীমনি বলেন, ‘‘আজ আমরা ‘তুই কি আমায় ভালোবাসিস’ গান দিয়ে ছবির কাজ শেষ করলাম। পুরো ছবিতে বলা যায় মেকআপবিহীন পরীকে দেখতে পারবেন দর্শকরা। পাশাপাশি এতে কাজ করেছে অর্ধশত শিশুশিল্পী। তাদের সঙ্গে এভাবে কাজ করাটাও আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা।’’
এরপর করোনার মধ্যে কিছুটা কাজ বাকি রেখে ঢাকায় ফেরেন তারা। লকডাউনের জন্য টানা কয়েক সপ্তাহ নদীতেও কাটাতে হয়েছে তাদের। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ছবির বাকি কাজ শেষ করার জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চেপে যশোরের উদ্দেশে উড়াল দেন নির্মাতা রায়হান জুয়েল, নায়িকা পরীমনি, নায়ক সিয়াম আহমেদসহ বড় একটি দল। যশোর থেকে তাদের গন্তব্য ছিল খুলনা। সেখান থেকে ফিরে ঢাকায় কিছু অংশের কাজ করে টিম যায় শেরপুর জেলায়।
কাজটি প্রসঙ্গে সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘এটা জুয়েল (নির্মাতা) ভাইয়ের প্রথম সিনেমা। প্রথম সন্তান। আমরা সে সন্তানকে বড় করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়েও কষ্ট বেশি করেছি। সত্যি ভালো লাগছে যে, অবশেষে সুন্দরভাবে ছবিটির কাজ শেষ করতে পেরেছি। এ জন্য প্রাপ্তির আনন্দটাও বেশি হবে। এখন দর্শকরা ছবিটি গ্রহণ করলে ভালো লাগবে।’
নাট্য নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েলের এটি প্রথম চলচ্চিত্র। তিনি বলেন, ‘অবশেষে ছবির কাজ শেষ হলো। ফাইনালি ভালো কিছু হোক- এটাই আমার চাওয়া।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গ।
এর অন্যতম দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, কচি খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক শিশুশিল্পী।