বৈঠকে অংশ নেওয়া চলচ্চিত্র সংগঠক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির অন্যতম নেতা মিঞা আলাউদ্দিন বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন।
বৈঠকে ১৬ অক্টোবর হল খোলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০০ কোটি টাকার (প্রস্তাবিত) ঋণ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সম্রাট। তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তিন ক্যাটাগরির হল মালিকদের জন্য ঋণ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
এগুলো হলো, বন্ধ হওয়া হল চালু ও সংস্কার, পুরনো হল সংস্কার এবং নতুন হলের জন্য ঋণ সুবিধা।
মিঞা আলাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) রাত ১০টার সময় মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বৈঠকের কথা জানানো হয়। ঢাকাতে আমরা তিন জন থাকি। তাই তিন জনই এতে অংশ নিই। ঋণ নেওয়ার জন্য আমরা তিনটি ক্যাটাগরির কথা বলেছি। এটা আমাদের প্রস্তাবনা। বাকিটা মন্ত্রণালয় দেখবে।’
তিনি জানান, ঋণের পরিমাণ নির্ভর করছে কার কতটুকু দরকার। তবে এক্ষেত্রে রাজধানী, বিভাগ, জেলা ও উপজেলার জন্য সর্বোচ্চ ঋণ কত হতে পারে, তা ঠিক করার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মিঞা আলাউদ্দিন বলেন, ‘ঋণের বিষয়টি এলেই হয়তো অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এতে যুক্ত হতে চাইবেন। তবে আমরা সমিতির তরফ থেকে বিষয়টি দেখভাল করবো। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে হলের লাইসেন্সের মেয়াদ, রিনিউ করা কিনা দেখতে হবে। আর হুট করে নতুন লাইসেন্স নেওয়াটা সহজ হবে না। কে কে লাইসেন্স নেওয়ার দাবি রাখে তা আমরা কিন্তু আগে থেকেই জানি। সমিতির পক্ষ থেকে আমরা ঋণ বণ্টনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো মন্ত্রণালয়কে।’
তিনি জানান, আপাতত ঋণের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। শিগগিরই সরকার এ বিষয়ে রোডম্যাপ দেবে।
গত ২৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমা হল বাঁচাতে বিশেষ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন। চলচ্চিত্র শিল্প তথা সিনেমা হল বাঁচাতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানা যায় তখন।