পুরনো দিনকার জৌলুস কোনোরকমে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে দেশের বর্ষীয়ান এই প্রেক্ষাগৃহ। তবে বোধহয় বেশি দিন আর সেটা থাকছে না। ঋণ আর হল সংস্কারের অভাবে এটি এখন মৃতপ্রায়। কর্তৃপক্ষ হলটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে।
ইতোমধ্যে সিনেমাপাড়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আসলেই কি ঢাকার প্রাচীনতম এই প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এর ব্যবস্থাপক আলাউদ্দিন তৌহিদের সঙ্গে।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিনেমা হলটি এমনিতেই ধুকে ধুকে চলছিল। করোনাতে সব শেষ করে দিয়েছে। আমাদের প্রায় ২০ জন কর্মচারী। করোনার সময় বেতন দেওয়া তো দূরের কথা কারেন্ট, পানি- কোনোটারই বিল দিতে পারিনি। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা বকেয়া হয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি বয়স এই আজাদ ম্যানসনের। প্রচুর সংস্কার দরকার। সিট, মেঝেতে নতুন করে কাজ করা দরকার। একে তো ঋণের বোঝা অন্যদিকে সংস্কারের খরচ। তাই বলা যায়, খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আমরা যাচ্ছি।’
ঢাকার প্রথম সিনেমাহল ছিল পিকচার হাউস। এরপর সিনেমা প্যালেস, লায়ন সিনেমা, আজাদ, মায়া, তাজমহল প্রেক্ষাগৃহ এসেছে। আজাদ ছাড়া উপরের সবই এখন অতীত। ঐতিহ্যের বারতা হাতে নিভু নিভু আলোতে এখন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এই সিনেমা হলটি।