তার আগে ৫ বছর অভিনয় করিনি। যখন আমার কাছে স্ক্রিপ্ট পাঠানো হয়, তখন শুনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এতে অভিনয় করবেন। আমি আর বেশি কিছু ভাবিনি। সঙ্গে সঙ্গে বলেছি, আমি কাজ করবো। এখনও মনে হয়, সেই সিদ্ধান্তটা আমার জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি হয়ে আছে যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষের সঙ্গে আমি কাজ করতে পেরেছি।
আমাদের শুটিং হয়েছিল কলকাতায়। উনার বয়স তখন ৮৩ বছর। সেই বয়সেও তার সময়-নিয়মানুবর্তিতা, পেশাদারিত্ব আমাকে মুগ্ধ করতো।
শুধু সেটে আসাই নয়, আসার আগে তিনি আরও প্রস্তুতি নিয়ে আসতেন। কারণ, কখনও দেখিনি তার একটা সংলাপ ভুল হয়েছে। সবকিছুই মুখস্থ ও আত্মস্থ করে সেটে ঢুকতেন। আমরা তখনও জানতাম না তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন বা তার কাজেও সেই ছাপ পাওয়া যেত না।
আরেকটি বিষয় বলি, সেটে আমরা সবাই উনার অনেক ছোট। আমার চেয়েও বয়সে ছোট টেলিছবিটির পরিচালক রাফায়েল আহসান। কিন্তু সৌমিত্র কখনোই ডিরেক্টরের কথার বাইরে কিছু করতেন না। এবং নির্দেশনাগুলো শুনে বুঝে নিতেন।
সৌমিত্র একটা প্রতিষ্ঠান। যার পাশে থাকলেও অনেক কিছু শেখা যায়। আমার পরম সৌভাগ্য, সেই দুদিন সুযোগটা পেয়েছি। ভালো থাকবেন প্রিয় অভিনেতা।