‘বলিউডে এখনও লিঙ্গ-বৈষম্যের ছড়াছড়ি’

বলিউডের অনেক ছবিতে এখনও অবাধ লিঙ্গ-বৈষম্য দেখা যায়। অভিনেত্রী দিয়া মির্জা মনে করেন, এর দায় ভারতের পুরুষতান্ত্রিক সমাজকেই নিতে হবে।

সিনেমার গল্প লেখা থেকে শুরু করে নির্মাণকাজে পুরুষরা নেতৃত্ব দেয়, তাই এমনটা ঘটছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান এ অভিনেত্রী।

দিয়া আরও জানালেন, ২০০১ সালে ব্লকবাস্টার ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবিতে তার অভিষেক হয়, সেটাও ছিল নারীর প্রতি বৈষম্যতায় ভরা! ওই সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে দিয়া বলেন, ‘তারা পুরুষতান্ত্রিক সিনেমার গল্প লিখছিলেন, আর আমিও তখন না বুঝে অভিনয় করে ফেলেছি।’

আরও বলেন, ‘একটা ছোট উদাহরণ দিই। এ পর্যন্ত যত ছবিতে অভিনয় করেছি তাতে সব মেকআপ শিল্পীই ছিলেন পুরুষ। চুলের স্টাইলের জন্য থাকতেন নারী হেয়ারড্রেসার। নেপথ্যের একশ’ জনের টিমে দেখা যেতো মাত্র চার-পাঁচ জন নারী।’

দিয়া আরও জানান, ‘আমার মনে হয় এই পুরুষতান্ত্রিক ব্যাপারটা অনেকেরই অবচেতনে হচ্ছে। কারণ, পুরুষ লেখক, পরিচালক ও প্রযোজকের সংখ্যাই বেশি। আমার ধারণা, লিঙ্গ সমতার বিষয়টা তারা ঠিকমতো জানেনও না।’

২০০০ সালের মিস এশিয়া প্যাসিফিক মুকুটজয়ী দিয়া মির্জা বলিউডে ‘সানজু’, ‘পরিনিতা’, ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগি’সহ অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি নাগার্জুনার সঙ্গে তাকে দেখা গেছে ‘ওয়াইল্ড ডগ’ ছবিতে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস