প্রায় প্রতিটা দিনই মঞ্চটা একটু একটু করে সাজানো হয়; কিন্তু শুভক্ষণ আর আসে না। কারণ, বিয়ের জন্য নির্ধারিত দিন (২৩ জুলাই) থেকে দেশজুড়ে শুরু হলো কঠোর লকডাউন, যা চলছে এখনও।
বলা যায়, গত সাত দিন ধরে মঞ্চ সাজিয়েই বসে আছেন কনে, শুধু আসছে না বর, বাজছে না সানাই কিংবা ‘হলুদ বাটো-মেন্দি বাটো’ গান! বরং মাঝে মাঝে হলুদের মঞ্চে হাই তুলে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটছে, জানান প্রসূন নিজেই।
প্রসূন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাবা-মা দুজনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত। সরকারি আদেশের কারণে লকডাউনে নিয়ম ভেঙে তারা বিয়ের আয়োজন করতে চান না। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলছেন। যদি অনুমতি পান তাহলে দ্রুতই বিয়ে হবে।’
গত ১২ জুন প্রসূনের বাগদান হয়। পাত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রেমিক ফারহান। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ও ফার্ম হাউজের মালিক।
প্রসূন বললেন, ‘ডিএমপি থেকে অনুমতি পেলে হয়তো বিয়ে হবে। আর আমরা চাইছি মসজিদে গিয়ে বিয়েটা করতে। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন টেনশন আর প্রস্তুতি নিয়ে আছি। আর কুলাচ্ছে না। দেখি কালকে (৩০ জুলাই) দুপুরের মধ্যে যদি অনুমতি পাই, তাহলে ভালো। নইলে বাবাকে নিয়ে রিকশায় উঠবো। টিকাটুলি মসজিদে গিয়ে ফারহানকে ডেকে নেবো। দুজনে নামাজ পড়ে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াই বিয়ে করে ফেলতে পারি।’
প্রসূন জানান, সম্ভাবনা আছে আগামীকাল (৩০ জুলাই) বিয়ে হওয়ার। কারণ, এদিন শুক্রবার। এছাড়াও ডিএমপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থায় অনুমতি পেলে বিয়ে হতে আর বাধা থাকছে না।
ছবিগুলো হলো, নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’, রাশিদ পলাশের ‘পদ্মপুরাণ’, জায়েদ রেজওয়ানের ‘মৃত্যুপুরী’ এবং নিশীথ সূর্যের ‘পায়রার চিঠি’।