‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন আবার চলেও গেলেন’

ক্ষণজন্মা কিন্তু তুলনায় সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকার নাম সালমান শাহ। তার অকাল প্রস্থানের ২৫ বছর পেরুলো আজ (৬ সেপ্টেম্বর)। সময় গড়ালেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। বরং দিনকে দিন এর দ্যুতি আরও ছড়িয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রের এই বরপুত্র ছিলেন অনেক অভিনেতারই আদর্শ। তার এই মহাপ্রস্থানের দিনে তাকে স্মরণ করেছেন তেমনই একজন- সিয়াম আহমেদ।

এই চিত্রনায়ক মনে করেন, সালমান শাহ তিনিসহ অনেকেরই অনুপ্রেরণা। বলেন, ‘সালমান শাহ প্রতিটি মুহূর্তে আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। শুধু আমাকেই না, নব্বই দশকেও যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেককেই কোনও না কোনোভাবে অনুপ্রাণিত করে গেছেন। তার এই ম্যাজিকটা বিরল। এলেন, দেখলেন, জয় করলেন, আবার চলেও গেলেন। উনি যদি একটা মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করতেন, সেটাও সবার চোখে লাগতো।’

সালমান শাহর মৃত্যুর খবর শুনে অনেক কেঁদেছিলেন সিয়াম। সে কথা স্মরণ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘উনি যে সময় মারা গিয়েছিলেন তখন আমি অনেক ছোট। মৃত্যু মানে কী, তা ঠিকমতো বুঝতাম না। আমাকে পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, সালমান শাহকে আর দেখা যাবে না। সে আর কাজ করবে না। উনার মৃত্যুর খবর পেয়ে অনেক কেঁদেছিলাম।’

১৯৯৬ সালের এই দিনে (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সালমান শাহর লাশ। সে সময় তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।

অপমৃত্যু নয়, বরং হত্যা করা হয়েছে তার ছেলেকে—এ প্রশ্ন তুলে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার সুরাহা হয়নি আজও। 

৯০ দশকের শ্রেষ্ঠতম নায়ক সালমানের প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। এ অভিনেতা মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। যার বেশিরভাগই ছিল তুমুল জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল। মাত্র তিন বছরের অভিনয় জীবনে এতটা দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেওয়ার ইতিহাস বিরল।

১৯৯৩ সালে সালমান অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‌‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পায়। এরপর থেকেই বাংলা চলচ্চিত্রে ভরসার প্রতিশব্দ হয়ে ওঠেন এ নায়ক।