হইচইয়ের পাঁচ: অমিতাভ, আশফাক, শাওকি, শঙ্খ ও তানিম

চলমান মহামারির সূত্র ধরে বিশ্বজুড়ে চলছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জোয়ার। সেই সুবাদে ঢালিউড, হলিউড, টলিউড আর বলিউড- সব যেন কাছাকাছি দূরত্বে পৌঁছে যাচ্ছে! বিশেষকরে শিল্পী-কুশলী-নির্মাতাদের দারুণ পালাবদল চলছে। আজ জয়া আহসান বলিউডের সিরিজে কাজ করছে তো, কাল শোনা যাচ্ছে সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ হলিউডে! 

একইভাবে দেশি ও বিদেশি ওটিটির মধ্যেও চলছে নানা চমকের প্রতিযোগিতা। তবে এ পর্যন্ত ঢাকাই শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে ভারতীয় ওটিটি হইচই। সফলতার পরিমাণও তাদের বেশি। বয়সেও এগিয়ে। এবার পাঁচ বছরে পা রেখেছে হইচই। তাই আয়োজনটাও একটু বড়।

হইচই-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার শাকিব আর. খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান পাঁচটি চমকের কথা। প্রতিষ্ঠানটি দেশের পাঁচ জন নামি নির্মাতাকে এক করলেন। উদ্দেশ্য, পাঁচটি নতুন সিরিজ উপহার দেওয়া। নির্মাতারা হলেন- অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আশফাক নিপুণ, সৈয়দ আহমেদ শাওকি, শঙ্খ দাস গুপ্ত ও তানিম নূর।

কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই পঞ্চম বর্ষে পা দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী বাংলা ভাষা-ভাষীদের কাছে মানসম্মত বাংলা কনটেন্ট পৌঁছে দেয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার চার বছরে হইচই শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় পঞ্চম বর্ষে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ জন সেরা নির্মাতাকে দিয়ে নতুন অরিজিনাল সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছি আমরা। যা শিগগিরই দর্শকদের সামনে হাজির হবে।’হইচই-এর কো-ফাউন্ডার বিষ্ণু মোহতা

এবার যেনে নেওয়া যাক সিরিজগুলো সম্পর্কে আগাম ধারণা- 

বলি
সোহরাব–রুস্তম; নাম দুটির সাথে বাঙ্গালীর আবেগ জড়ানো। প্রাচীন এক লোককাহিনির ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এই অ্যাকশন/থ্রিলার। মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘তাকদীর’ দিয়ে দেশ মাতানো জুটি– চঞ্চল চৌধুরী ও সোহেল মণ্ডল। পরিচালনা করছেন শঙ্খ দাস গুপ্ত। 

কাইজার 

কাইজার একজন ভিডিও গেমে আসক্ত ডিটেকটিভ। অস্বাস্থ্যকর সব অভ্যাস তার ব্যক্তি ও পেশা জীবনে নানা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আরও শোনা যায়– কাইজার নাকি রক্ত ভয় পায়! পরিচালনায় তানিম নূর। 

বোধ 

একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বোধের জাগরণ এবং বিবেকের দংশন নিয়ে এই সিরিজ। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর বিশেষ নির্মাণ এটি। 

কারাগার

একটি জেল। সেল নাম্বার ৫০১। সেলটিতে রাখা বেশ কিছু কয়েদীর আত্মহত্যার পর থেকে সেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এক সকালে সেলটিতে এক কয়েদীকে খুঁজে পাওয়া যায়, যে দাবি করে সেলের ভেতরে সে ২০০ বছর ধরে বন্দী। ‘তাকদীর’ সিরিজের আকাশচুম্বী সাফল্যের পর সৈয়দ আহমেদ শাওকির নতুন ন্যারেটিভ থ্রিলার সিরিজ এটি। 

সাবরিনা 

দুই বাংলা কাঁপানো ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’র পর আশফাক নিপুণ নিয়ে আসছেন ‘সাবরিনা’। যেখানে সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে নারীদের ওপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দুই নারীকে কেন্দ্র করে শিহরণ জাগানো একটি গল্প।