মেরিল্যান্ডে প্রথম বড়দিন, মন পড়ে আছে ঢাকায়

টনি ডায়েসের পর দেশীয় অভিনয়শিল্পে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন কল্যাণ কোরাইয়া। প্রতি বছর বড়দিন ঘনিয়ে এলে তার কাছ থেকেই মিলতো উৎসবের গল্প।

এবার আর সেটি হচ্ছে না। কারণ, টনির পথ ধরে কল্যাণও ভিড়লেন দূর পরবাসে, যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমবার এই অভিনেতা বড়দিনের আনন্দ ভোগ করছেন ঢাকার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে, স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরালয়ে। সেখানে বড়দিনের চোখধাঁধানো সব আয়োজনের মাঝেও মিস করছেন দেশটাকে।  

কল্যাণ বলেন, ‘চার বছর হলো বিয়ে করলাম। এখানেই (যুক্তরাষ্ট্র) আমার শ্বশুরবাড়ি। ফলে প্রতি বছরই এক দু’বার যুক্তরাষ্ট্রে আসা হয় আমার। তবে এবারই প্রথম বড়দিন উদযাপন করছি দেশের বাইরে। যদিও মনটা ঠিকই পড়ে আছে ঢাকায়।’ 

কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন কল্যাণ, ‘ঢাকায় মা-বোনরা আছে। ওদের মিস করছি। তাছাড়া বাংলাদেশে বড়দিনে পিঠা উৎসব হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এখানে তো আমাদের দেশের মতো হয় না। আমি যেভাবে অভ্যস্ত সেভাবে তো হয় না। সবই বিদেশি স্টাইল বলা যায়। সেজন্যই দেশটাকে মিস করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিনের উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘এখানে শতকরা ৯০ ভাগ বাড়ি বড়দিন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে উৎসব যেন লেগেই আছে। একটা সুবিধা, এখানে প্রচুর বাঙালিও আছে। তাদের মধ্যেও এই উৎসব নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখছি। সব মিলিয়ে নিজেকে এডজাস্ট করার চেষ্টা করছি।’

কল্যাণ কোরাইয়াযুক্তরাষ্ট্র সফরের কারণে এবার বড়দিনের বিশেষ কোনও নাটকেও পাওয়া যাবে না কল্যাণ কোরাইয়াকে। দেশটাকে মিস করার পেছনে সেটিও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এই অভিনেতা। তার ভাষায়, ‘এটাও একটা খারাপ লাগার বড় কারণ। অভিনেতা হিসেবে সম্ভবত এবারই প্রথম বড়দিনের কোনও নাটকে অভিনয় করতে পারলাম না।’ 

তবে শিগগিরই দেশে ফিরে আবার নাটকে নিয়মিত হওয়ার প্রত্যাশা জানান কল্যাণ।

তার আগে পরবাসে বসে বড়দিনে কল্যাণের প্রত্যাশা, ‘এটাই প্রার্থনা যে মানুষের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা যেন নতুন করে শক্তি দেয়, আমাদের ধৈর্য শক্তি যেন আরও বাড়ায়। আমরা যেন করোনার ক্ষতি ও ভয় থেকে নিজেদের কাটিয়ে উঠতে পারি দ্রুত।’