নতুন বছরের নকশা

পৃথিবীর সৌন্দর্য রক্ষায় নিয়োজিত হলেন জয়া আহসান

বছরের একেবারে শেষ প্রহরে এসে বড় একটা খবর পাঠালেন দুই বাংলার মুখ্য অভিনেত্রী জয়া আহসান। জানালেন, পৃথিবীর সৌন্দর্য রক্ষা ও বিকাশে এখন থেকে আরও জোরালোভাবে কাজ করবেন তিনি। তার সঙ্গে সকল সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকছে ইউএনডিপি।

১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে শুরু হচ্ছে জয়ার পৃথিবী জয়ের নতুন যাত্রা। এদিন থেকে তিনি কাজ করবেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। তিনি মূলত, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন। জানালেন ৩১ ডিসেম্বর রাতে। 

জয়া আহসান বলেন, ‘আমি শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দিত আরেকদিকে ইউএনডিপির সাথে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি নামে পরিচিত) নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি  অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’ 

আরও বলেন, ‘আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করবো, যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’

জয়া আহসানএদিকে জয়ার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘এ পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সবার অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই কেবল এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে। জয়া আহসানের মতো একজন, যিনি শুধু জনপ্রিয় শিল্পী নন, পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এমন একজন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হওয়াতে আমরা সৌভাগ্যবান। তার মাধ্যমে আমাদের কথা এখন দেশ ও দেশের বাইরে মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছানো যাবে। যেন আমরা সবাই মিলে সুন্দর, সুখী এবং সবার জন্য সমান একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’

জয়া আহসান ইউএনডিপির সাথে এসডিজি ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে কাজ করবেন। যেমন দারিদ্র বিমোচন, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং লিঙ্গ  সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।

জয়া আহসান সাম্প্রতিক সময়ে ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের ‘কালান্তর- বঙ্গভঙ্গের বিপ্লবী যুগ’ ও ‘ঝরা পালক’ ছবিগুলো নিয়ে।জয়া আহসান