এই অভিনেত্রী টানা ব্যস্ত আছেন বঙ্গভঙ্গের উত্তাল সময় নিয়ে টলিউডের সৌকর্য ঘোষালের ‘কালান্তর- বঙ্গভঙ্গের বিপ্লবী যুগ’-এর শুটিংয়ে। কারণ, ডে-লকডাউনের আগেই কাজটি শেষ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে জয়া আহসান কলকাতা থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘টানা সকাল-বিকাল পাগলের মতো শুট করছি। ঘরে ঢুকতে হচ্ছে রাত ৯টার মধ্যেই। ৯টার পর কলকাতা এখন কারবালার মতো। সব বন্ধ। কারফিউ টাইপ। জানি না, সামনে আরও কেমন দিন আসছে।’
এদিকে অস্থিরতার কথাগুলো যখন বলছেন, তখন তিনি বেশ স্থির। ‘কালান্তর’ থেকে পেয়েছেন বুধ ও বৃহস্পতি ছুটি! এটুকু প্রাপ্তিতেই মহাখুশি এই অনন্যা। বললেন, ‘গতকাল ও আজ (৫ ও ৬ জানুয়ারি) গ্যাপ পেলাম শুটিং-ছুট থেকে। টানা দুটো দিন বাসায় চিল করলাম। নিজেকে নিজেই ট্রিট দিলাম। বিছানায় গড়াগড়ি আর আলসেমি করলাম মনভরে। বন্ধু মুনমুনকে নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে শীতের সবজি রান্না করলাম। খেলাম। এখন রিচার্জ লাগছে।’
সেই আনন্দে জয়া আহসান তার ভক্তদের নেটমাধ্যমে পাঠালেন উষ্ণ-বার্তা! ভেরিফায়েড পেইজে প্রকাশ করলেন কফির পেয়ালা হাতে চারটি রোদ পোহানোর ছবি! জানান, এই ছবিগুলো আগেই তুলেছেন। এবার প্রকাশ করেছেন ছুটির আনন্দে, ঠান্ডাটাকে ভুলিয়ে দিতে।
ওদিকে ঠান্ডা-গরমের চেয়ে কলকাতার খবরে দিনকে দিন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। এরমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, এখনও ভ্যাকসিনই নেননি দুই বাংলার এই অন্যতম অভিনেত্রী! কারণ, তার নাকি সুঁইভীতি রয়েছে! এমন প্রসঙ্গ টানতেই কম্বলমুড়ি থেকে সটান উঠে দাঁড়ালেন যেন; করলেন বিরোধিতা। বললেন, ‘সব মিথ্যে। আমি দুটো ভ্যাকসিনই নিয়েছি। বুস্টার বাকি। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, বুস্টার দিচ্ছে যারা তারাও দুই তিনবার করে আক্রান্ত হচ্ছে! এর শেষ কোথায় জানি না।’
এদিকে অভিনয়ের পাশাপাশি ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হলো জয়ার পৃথিবী জয়ের নতুন যাত্রা। এদিন থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। তিনি মূলত, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সবার সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন।
জয়া আহসান বলেন, ‘ইউএনডিপির মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো, এই ভেবে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী রক্ষার জন্য যেই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি নামে পরিচিত) নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি অর্জন করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করবো, যেন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর, সহনশীল করে গড়ে তুলতে পারি।’