নির্বাচনে কৌশলী কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন জমে উঠেছে। অভিনেতা মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের পর নাম এসেছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আকতার প্যানেলের। 

তবে কেউই পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেনি। এরমধ্যে গতকাল (৯ জানুয়ারি) হয়ে গেলো কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রথম সংবাদ সম্মেলন।

এতে তারা দুজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, ইমন, নীরব, সাইমন, গাঙ্গুয়া, আফজাল শরীফ, অভিনেত্রী নূতন ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।

এরমধ্যে বেশিরভাগকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে। তবে এখনই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে চান না তারা। এমনকি মৌখিকভাবেও নিশ্চিত করা হয়নি। কারণ, আজ (১০ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে নিজেদের পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী ও সদস্যদের নাম কাটছাঁট হবে কিনা সেটা নিয়েও শঙ্কায় আছে প্যানেলটি। এছাড়া ১১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র তোলার দিন। এদিনই প্যানেল ঘোষণা করবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ।

বক্তব্য রাখছেন কাঞ্চন

এদিকে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‌‌‘দীর্ঘদিন যারা এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই নেতৃত্বের মধ্যে অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটা রেষারেষি হচ্ছে, মনোমালিন্য হচ্ছে। এই মনোমালিন্য যদি চলচ্চিত্রে থাকে তাহলে তো উন্নয়ন হবে না। আমি বিষয়গুলো ভেবে নির্বাচনে এসেছি। শিল্পীদের কেন মানুষ দুস্থ বলবে? আমরা অনেক সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেবো। শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থা করবো। ’

ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি হিসেবে লড়বেন। অন্যদিকে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখা যবে।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। কিন্তু আজকে চলচ্চিত্র যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, আমার মনে হচ্ছে, আমরা একটা ক্রান্তিলগ্ন পার করছি। কাঞ্চন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, তিনি এই সময় এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

সমিতির নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনবেন বলে জানান নিপুণ।  

অন্যদিকে, রিয়াজ, ইমন, নীরব ও সাইমনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্যানেলটাকে আরও গোছাতে চান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ইলিয়াস-নিপুণ। এজন্য আরও দুটি দিন সময় নেবেন তারা। যেন এতে হেভিওয়েট ও সামনের কাতারের শিল্পীদের সমর্থন পান। 

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ জানুয়ারি হবে সমিতির ২০২২-২০২৪ দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচন। এতে প্রধান কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে।