ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ ছিল অবশ্যম্ভাবী!

প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি দাম্পত্যের বয়স তামিল তারকা ধানুশ ও তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার। অনেক অনুষ্ঠানই ঝলমল করে উঠতো তাদের উপস্থিতিতে।

তবে, তারপরও তাদের বিচ্ছেদ যেন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমনটাই মানতেন বা মনে করতেন দুজনেরই কাছের মানুষেরা!
বন্ধুরা বলছেন, বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী ছিল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার। কিন্তু কেন এমন বলছেন তারকা দম্পতির ঘনিষ্ঠ মহল?

২০০৪ সালে মহাধুমধামে বিয়ে হয় দক্ষিণি মহাতারকা রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়া ও অভিনেতা ধানুশের। ১৮ বছর পর গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সে সম্পর্কের ইতি টানেন ধানুশ। তারপর থেকে নানা জল্পনায় উঠে আসছে তাদের নাম। 

বেশ কিছু দিন আগে তামিল অভিনেতা কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসানের সঙ্গে ছিল ধানুশের সম্পর্কের গুজব। তবে তা প্রতিষ্ঠা পায়নি।

ধানুশ ও শ্রুতি

আরেকটি সূত্র বলছে, পেশাগত জীবনে দুজনের পছন্দ-অপছন্দ ও সিদ্ধান্তের ফারাক এবং কাজের ব্যস্ততাই দুজনের মাঝে এসে দাঁড়িয়েছে। 

ভারতীয় সেই সংবাদ সংস্থার রিপোর্টের দাবি, কাজপাগল ধানুশ বরাবরই পেশাগত প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতেন। লাগাতার আউটডোর শুট এবং অন্য শহরে যাওয়ায় পারিবারিক জীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তিনি।

পরপর ছবিতে কাজের কারণে ঐশ্বর্যকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছিলেন না অভিনেতা। স্ত্রীও আস্তে আস্তে আধ্যাত্মিকতার দিকে গেছেন। যোগ ব্যায়াম, শারীরিক কসরতে সময় কাটান তিনি। 

নাম গোপন রাখার শর্তে তাদের এক বন্ধু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোভিড ও লকডাউনে ঘরবন্দি থাকাকালীন নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তার সুযোগ পেয়েছিলেন তারকা-দম্পতি। ধানুশের কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি দাম্পত্যের প্রয়োজনীয়তা আর অনুভব করছিলেন না ঐশ্বরিয়াও।

অন্যদিকে, ধানুশের (৩৮) বয়সের তুলনায় বড় ছিলেন ঐশ্বরিয়া (৪০)। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে ঝামেলা পোহাতেও হয়েছে। তবে শেষ দিকে এসে এটাও ছিল নাকি সমস্যার কারণ।


সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিংক ভিলা