কাঞ্চনদের ছাড়াই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় জায়েদরা

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের বিভেদ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট শেষে হয়েছে একের পর এক সংবাদ সম্মেলন। এতে দুই পক্ষই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

এরপর গতকাল (৩০ জানুয়ারি) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসায় যান নির্বাচনে জয়ী শিল্পীদের একাংশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন জায়েদ খান। তবে সেখানে ছিলেন না নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তাদের প্যানেলের কেউ।

বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খান জানান, তারা নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন।

তবে প্রশ্ন উঠেছে সহ-সভাপতি পদে জয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের এক স্ট্যাটাসে। তিনি একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে ক্যাপশন লেখেন, ‘নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির সদস্যবৃন্দ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাহেবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’

এতে তাদের বিভেদটিই যেন ফুটে উঠলো। কারণ, সেখানে উল্লেখ করা হয় ‘নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতি’ বাক্যটি। অথচ নেই সভাপতিসহ বাকি ১০ জন।

ডিপজলের স্ট্যাটাস

তাহলে কি ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেলের বিজয়ীদের পাশ কাটিয়ে এমন সাক্ষাৎ- জানতে চাওয়া হয়েছিল নন্দিত এই নায়কের কাছে।

ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তার ভাষ্য, ‘নবনির্বাচিতরা এখনও সমিতির শপথগ্রহণ করিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বও বুঝে নিইনি। তাই নবনির্বাচিত সমিতি বলা ঠিক হবে না। ওরা ওদের (প্যানেল) মতো সাক্ষাৎ করেছে হয়তো। এখানে আমার বলার কিছু নেই। যেদিন দায়িত্ব গ্রহণ করবো, সেদিন থেকে সমিতির বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবো।’

এদিকে, নির্বাচনের ঘটনায় গতকাল (৩০ জানুয়ারি) সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল বিএফডিসি। ভোটের দিন সেখানে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে চলচ্চিত্রের ১৭ সংগঠন। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনকে আজীবনের জন্য এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, এদিন বিকালেই ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন নিপুণ। পাশাপাশি কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস করা হয়। যেখানে ভোটের দিন জায়েদ ও এক পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশের বিষয়টি উঠে আসে।

ঘটনাটি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে কথাও বলেন জায়েদ। তার ভাষ্য, ‘এটা (স্ক্রিনশট) সুপার এডিটেড। নইলে আমার কথোপকথনের অপর লোকের ছবি কোথায়?’

তবে এ বিষয়টি হাস্যকর বলে মনে করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি জানান, যে পক্ষ কথা বলে সে পক্ষের ছবি মেসেঞ্জারে ওঠে না। এটা তখনই উপস্থিত সাংবাদিকদের ধরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।