গডোর জন্য অপেক্ষার অবসান ঘটছে

মানুষের শ্রেণিসংগ্রাম, নানা বিভেদ, শোষণের বিরুদ্ধে জীবন সংগ্রাম, শূন্যতা বোধ, অন্তহীন ক্লান্তির প্রেক্ষাপটে রচিত স্যামুয়েল বেকেটের নাটক ‘ওয়েটিং ফর গডো’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন বিপর্যস্ত নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনের অর্থহীনতা নিয়ে গত শতাব্দীতে লেখা হয়েছে এই নাটকটি। 

ঐতিহাসিক এই সৃষ্টির পঁচাত্তর বছর পূর্তির প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য মঞ্চে তুলছে নাটকটি।

শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন। এতে অভিনয় করেছে ঢাবি’র স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীবৃন্দ। আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ প্রতি সন্ধ্যা ৭টায় বিভাগের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে এবং ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ একই সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বিখ্যাত এই নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন ইসরাফিল শাহীন।  

নাটকটি প্রসঙ্গে এই নির্দেশক বলেন, ‘ওয়েটিং ফর গডো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী এমন এক সময়ে লেখা হয়েছে যখন মানুষ পৃথিবীতে তার অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বর্তমানকালেও এই প্রশ্নটি অমূলক নয়। এমন ভাবনা থেকেই আমাদের এই প্রয়াস।’  

নাটকটি অনুবাদ করেছেন আসাদুল ইসলাম, নির্দেশনা সহযোগী হিসেবে আছেন নাভেদ রহমান, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায় আশিকুর রহমান লিয়ন পোশাক পরিকল্পনায় ওয়াহীদা মল্লিক ও কাজী তামান্না হক সিগমা, রূপসজ্জায় পরিকল্পনায় রহমত আলী এবং অভিনয় করেছন আহম্মেদ রাউফুর রহিম, রুদ্র সাঁওজাল, ফারজিয়া হক ফারিন, মোসা. সায়মা আক্তার, সৈয়দ আল মেহেদী হাসান, সোনিয়া পারভীন অনা, মো. আখলাকুজ্জামান অনিক ও অদিতি চ্যাটার্জি।