কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় রাশিয়াকে জায়গা দেওয়ায় আয়োজকদের নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের নির্মাতা দিমিত্রা সুকালিতকি-সোবচুক। তার পরিচালিত ‘পামফির’ রয়েছে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে।
এবারের কান উৎসবে রুশ সরকার সংশ্লিষ্টদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার ভিন্নমতাবলম্বী পরিচালক কিরিল সেরেব্রেনিকভের ‘‘চাইকস্কি’স ওয়াইফ’’ ছবি নির্বাচিত হয়েছে মূল প্রতিযোগিতা শাখায়। কানসৈকতে এসে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বিরোধিতা করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের নির্মাতা দিমিত্রা সুকালিতকি-সোবচুকের মন্তব্য, কানে কিরিলের থাকার অর্থ তিনি রুশ প্রপাগান্ডার অংশ। পুতিন সরকার তার এই উপস্থিতিকে নেতিবাচক উদ্দেশে পুঁজি করতে পারে।
সুকালিতকি-সোবচুকের দৃষ্টিতে, ‘কানে শান্তিপূর্ণ যা কিছু দেখানো হচ্ছে সেসব ইউক্রেনের সঙ্গে বেমানান। আমাদের দেশের বাস্তবতা পুরোপুরি বিপরীত।’
‘পামফির’ ছবির প্রেক্ষাপট পশ্চিম ইউক্রেনের চেরনিভৎসি অঞ্চলের একটি জঙ্গল। পোল্যান্ডে কয়েক মাস কাজ করার পর দেশে সন্তানদের কাছে ফেরেন লিওনিড। একটি গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের জন্য তার ছেলে নাজারকে দায়ী করা হয়। এ কারণে বাবা চোরাচালানের কাজ নিতে বাধ্য হয়। গ্রিক ট্র্যাজেডি এবং বাইবেলের উল্লেখসহ মুক্তিসংগ্রামের গল্পের সঙ্গে চলমান রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের অনুরণন রয়েছে।
লিওনিড চরিত্রে অভিনয় করেছেন অলেকসান্ডার ইয়াসেনচুক। তার কথায়, ‘ছবিটিকে ইউক্রেনীয় জনগণের শক্তি ও ক্ষমতার প্রতিফলন বলা যায়। তারা খুব শক্তিশালী এবং জয় পাবেই। এটা শুধু সময়ের প্রশ্ন... কারণ আমরা হারতে পারি না।’
প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত নারী পরিচালকদের ছবি আছে ৯টি। এগুলো হলো ফরাসি অভিনেত্রী লেয়া সেদু অভিনীত ‘ওয়ান ফাইন মর্নিং’ (ফ্রান্স), বেলজিয়ান অভিনেত্রী ভার্জিনি এফিরা অভিনীত ‘প্যারিস মেমোরিস’ (ফ্রান্স), ফরাসি অভিনেত্রী আদেল এক্সারশোপুলোস অভিনীত ‘দ্য ফাইভ ডেভিলস’ (ফ্রান্স), ‘দ্য ফেব্রিকেশন অব দ্য হিউম্যান বডি’ (ফ্রান্স), ‘ফ্যালকন লেক (ফ্রান্স), ‘দ্য সুপার এইট ইয়ারস’ (ফ্রান্স), ‘দ্য ওয়াটার’ (স্পেন), ‘গডস ক্রিয়েচারস’ (যুক্তরাষ্ট্র), ‘নাইনটিন সেভেনটি সিক্স’ (চিলি)।
ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত পূর্ণদৈর্ঘ্য অন্য ছবিগুলো হলো ‘আশকাল’ (তিউনিসিয়া), ‘এনিস মেন (যুক্তরাজ্য), ‘মেন’ (যুক্তরাজ্য), ‘উইল-ও-দ্য-উইস্প’ (পর্তুগাল), ‘ফানি পেজেস’ (যুক্তরাষ্ট্র), ‘কন্টিনেন্টাল ড্রিফট-সাউথ’ (সুইজারল্যান্ড), ‘দ্য মাউন্টেন’ (ফ্রান্স), ‘দ্য গ্রিন পারফিউম’ (ফ্রান্স), ‘হারকিস’ (মরক্কো), ‘দ্য ড্যাম’ (লেবানন), ‘অ্যা মেল’ (কলম্বিয়া), ‘আন্ডার দ্য ফিগ ট্রিস’ (ফ্রান্স/তিউনিসিয়া)।