কদিন বাদেই বয়স ছাড়াবে ৬০। এখনও হৃদয়ে কাঁপুনি তোলা টম ক্রুজ নিজের স্টান দৃশ্যে অভিয়ন করেন নিজেই। গতমাসের ‘টপ গান: ম্যাভারিক’ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ফুরিয়ে যাওয়ার ঢের বাকি। আজ রইলো ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত টম ক্রুজের প্রেমিকা ও সাবেক স্ত্রীদের পরিচয়পর্ব—
১৯৮০ সালে টম যখন সবেমাত্র তার ক্যারিয়ারের জুতোয় পা রাখেন তখন তার সঙ্গে ডেটে দেখা যেত মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক মেলিসা গিলবার্টকে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে এক অডিশনে দেখা। এরপর কেবল একবারই ডেটে গিয়েছিলেন টম ও হিথার। ৬০ বছর বয়সী হিথার এখনও টুকটাক অভিনয় করে যাচ্ছেন।
১৯৮৩ সালে শহরে রেবেকা-টম জুটি নিয়ে বেশ কানাঘুষা উঠেছিল। ২ বছর টিকেছিল প্রেম। ওই সময় হলিউডের বেশ মারকুটে নায়িকা ছিলেন রেবেকা।
মার্কিন গায়িকা, টিভি তারকা ও অভিনেত্রী শেরের তারকাখ্যাতি তখন তুঙ্গে। ওই সময় টমের সঙ্গেও গড়ে ওঠে সখ্যতা। তখন এক সাক্ষাৎকারে শের বলেছিলেন, টম ক্রুজ তার সেরা পাঁচ বয়ফ্রেন্ডের তালিকায় আছে।
১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো বিয়ে-বন্ধনে আটকা পড়েন টম ক্রুজ। বিপরীতে জনপ্রিয় তারকা মিমি রজার্স। ২ বছর সুখের সংসারের পর আসে বিচ্ছেদ। তারপর থেকে অবশ্য বন্ধুই আছেন দুজন।
ডেটিং করতে করতে দুজন বিয়ে করে ফেলেন ১৯৯০ সালে। দুজনে মিলে দুটি শিশুকে দত্তকও নেন। কিন্তু ২০০১-
এ টম-নিকোলের দাম্পত্যের ইতি ঘটে বেশ বাজেভাবে।
নিকোলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির অল্প সময় বাদেই পেনিলোপের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন টম ক্রুজ। দীর্ঘদিন অবশ্য সেটা স্বীকার করেননি দুজনের কেউ। ঘন ঘন একসঙ্গেই দেখা যেত দুজনকে। ২০০৪ সালের পর থেকে আর এগোয়নি সেই লুকোছাপার সম্পর্ক।
কিছুটা কম চেনা এ মার্কিন তারকার সঙ্গে টম ক্রুজের পরিচয় হয় ‘সায়েন্টোলজি’র সম্মেলন-সেমিনারে অংশ নিতে গিয়ে। ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত টিকেছিল এ প্লেটোনিক প্রেম।
শূন্য দশকের মাঝামাঝিতে হলিউডের রীতিমতো আইকনিক জুটি বনে গিয়েছিলেন টম-কেটি। দুজনের সংসারে একটি কন্যাসন্তানেরও জন্ম হয়। ছাড়াছাড়ি হয় ২০১২ সালে।
গতবছরও একসঙ্গে দেখা যেত দুজনকে। কিন্তু ‘মিশন ইম্পসিবল-৭’ এর সহশিল্পী হেইলির সঙ্গে শেষতক আর বনিবনা হলো না টমের। প্রায় সব ঠিক থাকলেও সঠিক রসায়নের অভাবে ভাঙতে হলো প্রেমের সম্পর্ক। এখন বন্ধুই আছেন দুজন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া