‘হাওয়া’ থেকে আপত্তিকর দৃশ্য সরানোর দাবি!

‘হাওয়া’ হিট। তৃতীয় সপ্তাহে এসেও কমছে না এর গতিবেগ। চলছে ৪৮টি প্রেক্ষাগৃহে। মাল্টিপ্লেক্সের বেশিরভাগ শোয়ে ঝুলছে হাউজফুল নোটিশ।

এরমধ্যে উঠলো ছবিটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। সিনেমার পুরোটাজুড়ে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় প্রদর্শন করায় ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন। সিনেমাটির প্রদর্শন বন্ধ করে আপত্তিকর দৃশ্য সংস্কারের দাবি জানায় তারা।

এখানেই শেষ নয় পরিবেশবাদীদের দাবি। তাদের সূত্র ধরে এবার সোজা সিনেমা হলে ঢুকে পড়লেন বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন বিভাগের চার কর্মকর্তা। তাদের নেতৃত্বে একটি ইউনিট বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটি দেখেন। 

হল থেকে বেরিয়ে তারা জানান, পরিবেশবাদীদের উৎকণ্ঠা ও দাবির সত্যতা পেয়েছেন তারা। আইন অমান্য করা হয়েছে এই সিনেমায়।

‘হাওয়া’র একটি দৃশ্যে নাজিফা তুষিতাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে সারাক্ষণ একটি খাঁচায় বন্দী রাখা হয়েছিল। এটা দেখে দর্শক ধরে নেবেন, পাখি আটকে রাখা যাবে। সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার আলোকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন বন বিভাগে দাখিল করা হবে। পরে মামলা করা হবে কি না, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’  

তবে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি ‘হাওয়া’ নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানে না তিনি। জানালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।

সমুদ্রের বুকে একটি মাছ ধরার ট্রলার ও কয়েকজন মাঝিকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে ‘হাওয়া’। যেখানে দেখা যায় মাঝিদের পাশাপাশি ট্রলারে একটি শালিক পাখিও আছে খাঁচায়। সিনেমার বক্তব্যে বোঝানো হয়, মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে ফেললে এই পাখিকে ছেড়ে দেওয়া হলে সে যদি ফিরে আসে ট্রলারে- তবে ধরে নিতে হবে চারপাশে কোনও স্থল নেই! বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তারা মনে করেন, এটা দর্শকদের পাখি বন্দি করার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাবে। তাই নয়, ছবিটির একটি দৃশ্যে বোঝানো হয়- পাখিটিকে হত্যা করে খাওয়া হচ্ছে! যা স্পষ্ট ভাষায় আইনের লঙ্ঘন।

‌‌‘হাওয়া’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু প্রমুখ।‘হাওয়া’র একটি দৃশ্যে শরিফুল রাজ