ফের আইনি নোটিশ পাঠানো হলো ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে 

‘হাওয়া’ সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য সংযোজন এবং বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা প্রদান না করায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অমান্যের অভিযোগে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সিনেমাটির প্রযোজক, পরিচালককে মূল চরিত্র এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জুয়েল সরকার এ নোটিশ প্রেরণ করেছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বিধিমালার চরম অবমাননা দেখা গেছে। সিনেমার মূল চরিত্র চঞ্চল চৌধুরী দেশের সব শ্রেণির বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে ধূমপানের যেসব দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে তার সঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা বিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়নি। দেশের তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, যাদের আইডল মনে করা হয়; এদের এমন কর্মকাণ্ড তরুণদের তামাক গ্রহণে উৎসাহিত করে তুলতে পারে এবং দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি তামাক বিরোধী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা সিনেমাটিতে সংযোজন করেননি। তাই তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই নোটিশ প্রসঙ্গে ‘হাওয়া’ সংশ্লিষ্টদের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এই নোটিশ পাঠান। এরপর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয় নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।

পরে সেটি সুরাহা হয়।

‘হাওয়া’ নির্মিত হয়েছে সমুদ্রে ভাসমান মাছ ধরার একটি ট্রলারকে ঘিরে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, নাসিরউদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, সুমন আনোয়ার প্রমুখ। গত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এখনও দেশের সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি।