বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে কলকাতায় প্রদর্শিত হয়েছে ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে সাফল্যের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে চলেছে; কিন্তু ভারত তথা কলকাতায় মুক্তি দেওয়া যায়নি। ফলে সেখানকার বাঙালিরা উৎসবের খবর শুনে ‘হাওয়া’ দেখার জন্য ছুটে আসেন নন্দনে।
দীর্ঘ লাইন ধরে ‘হাওয়া’ দেখার সাধ মিটিয়েছেন হাজারো কলকাতাবাসী। সবার মুখেই প্রশংসাবাক্য, উচ্ছ্বাস। এই তালিকায় শুধু সাধারণ দর্শক নয়, সেখানকার তারকারাও আছেন। টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী থেকে সংগীতশিল্পী জয় সরকার অনেকের মনেই দাগ কেটেছেন চান মাঝি (চঞ্চল)।
নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী তার স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে নিয়ে ‘হাওয়া’ দেখেছেন। এরপর চঞ্চলের সঙ্গে দু’জন ছবিও তুলেছেন। সে ছবি শেয়ার করে রাজ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, “কাল (২৯ অক্টোবর) নন্দন-এ চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হাওয়া’ দেখে মুগ্ধ। অসাধারণ অভিনয়, ক্যামেরা, ডিরেকশন এবং যার কথা সব থেকে বেশি বলতে হয়, চঞ্চল চৌধুরী; তিনি আসলেন, অভিনয় করলেন এবং জয় করে নিলেন আমাদের মন। পুরো শিল্পী-কুশলীকে ধন্যবাদ অসাধারণ এই ছবি তৈরির জন্য।”
কলকাতার দর্শক ও সিনে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, সেখানকার সিনেমা-কনটেন্টের চেয়ে বাংলাদেশের কাজ অনেকটা এগিয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক শুভদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলাদেশের ছবির এই নিখুঁত কাজ, ন্যাচারাল আলোয় শুট, এত নিখুঁত ছবি সত্যিই আমাদের এখানে তৈরি হয় না। কনটেন্টের দিক থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে।’
বলা বাহুল্য, ‘হাওয়া’র কলকাতা জয়ের অন্যতম শক্তি এর গান এবং অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অন্তর্জালের বরাতে গানগুলো আগেই কলকাতাবাসীর কানে পৌঁছে গেছে। আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দুর্দান্ত কাজের সুবাদে সেখানে এখন চঞ্চলের জয়জয়কার।
উল্লেখ্য, ‘হাওয়া’য় চঞ্চল ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, নাসিরউদ্দিন খান, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। এটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়ে এখনও চলছে।
সূত্র: এই সময় ও আনন্দবাজার