চলচ্চিত্রে লোকউৎসবের উপস্থাপন নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

চলচ্চিত্রকে বলা হয় সমাজের আয়না। এতে সমাজ ও মানুষের জীবনচিত্র উঠে আসে নানা গল্পে। এই চলচ্চিত্রে দেশের লোকউৎসবের উপস্থাপন কতটা সমৃদ্ধ, তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে সেমিনার।

এর শিরোনাম ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকউৎসব: নান্দনিক পরিসর ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এটি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক সুমাইয়া নাসরীন ঐশী।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক জনাব শফী আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান। স্বাগত আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল। সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর।

অধ্যাপক শফী আহমেদ বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্র এখনও আমাদের গৌরবময় সংস্কৃতির উজ্জ্বল প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু আবাদ করলে ফলবে সোনা, সেই প্রবচনের বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ছবিতেও আমাদের লোকজ উপাদানের নান্দনিক পরিবেশনার লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উদ্যোগে এবং সুমাইয়া নাসরীন ঐশীর শ্রমশীলতায় যে গবেষণা কর্ম চলমান, তা আমাদের শিল্প প্রয়োগকে চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনায় সহায়তা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

সেমিনারে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনেরাঅধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ‘চলচ্চিত্র একটি জাতির সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান। চলচ্চিত্রে লোক-উৎসব সেই উপাদানেরই বিশিষ্ট এক দিক। সুমাইয়া নাসরীন ঐশীর গবেষণাপত্র সে বিবেচনায় তাৎপর্যপূর্ণ। এই গবেষণা থেকে বাঙালি সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক আবিস্কৃত হবে বলে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি।’

নির্মাতা ও চলচ্চিত্র গবেষক ড. মতিন রহমান বলেছেন, ‘বাংলার লোক সংস্কৃতি এবং উৎসবের মাঝেই বাংলার, বাঙালির প্রাণস্পন্দন। এই বিষয় নিয়ে আজকের সেমিনার সত্যিকার অর্থে সফল হলে বাঙালির শেকড় সন্ধান হবে।’

বিশেষ এই সেমিনারে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষকরা।