ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আবেগঘন জয়া

অসুস্থতার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে চলেই গেলেন টলিউডের তরুণ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ২৪ বছর। ২০১৫ সাল থেকে  তিনি যুদ্ধ করছিলেন মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে। তখন তিনি একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। মাঝের সময়টুকু শুধু জীবনের সঙ্গেই লড়াই করেননি, মন জয় করে নিয়েছেন তার অভিনয় আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে।

ঐন্দ্রিলার বিদায় বেলায় তারই প্রতিধ্বনি এলো দুই বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসানের কণ্ঠে। জয়া বললেন, ‌‘ঐন্দ্রিলাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। তবে ওই কিছু মানুষ থাকে না, যাদের দেখলেই কেমন যেন জীবন ঝকমকিয়ে ওঠে, ও ছিলো আমার কাছে তেমনই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও ঠিক তেমনি জীবন হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে বারবার।’ 

ঐন্দ্রিলার মুখে সবসময় লেগে থাকা উজ্জ্বল হাসির কথা উল্লেখ করে জয়া বলেন, ‘জীবনীশক্তিতে দৃপ্ত চোখ, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আদর করে বেঁচে ছিলো মেয়েটা; সঙ্গে বাঁচার আসল মর্মটুকু শিখিয়ে যাচ্ছিল আমাদের প্রতিনিয়ত। কি হবে জীবন, যদি তা এমন অন্ধকার দিনে ব্যথিয়ে না ওঠে? আজ ওর শেষযাত্রায় যে অসীম অনুপ্রেরণা রেখে গেল, তাতেই শান্তি আসুক। এমন অনুপ্রেরণা ভেন্টিলেশনের হাজার সূচকে বারবার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জিতে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।’ 

জয়া মনে করেন, ‘সেই অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী। মৃত্যুর শোক ওকে ছুঁয়ে নতুন অর্থ পেল। ভালো থেকো লড়াকু মেয়ে, মনের মাঝে জীবন চেতনা হয়ে অমর থেকো আজীবন।’

জয়া আহসানঅনেক বছর ধরেই শারীরিক নানা জটিলতার সঙ্গে লড়াই করে আসছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অতীতে দুইবার ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রথমবার ২০১৫ সালে, তিনি যখন একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে। চিকিৎসায় ক্যানসার থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ জীবনেও ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু এবার আর ফেরা হলো না।

উল্লেখ্য, ঐন্দ্রিলা শর্মা কলকাতার ধারাবাহিক নাটকে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। এরপর স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’, সান বাংলা টিভির ‘জিয়ন কাঠি’ ইত্যাদি সিরিয়ালে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।