বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রচারক হিসেবে বেশ পরিচিতি স্বনামধন্য সাংবাদিক-উপস্থাপক শফিক রেহমান এর। ১৯৯৩ সালে এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালনের জন্য প্রথম এবং সর্বাধিক আহ্বান জানান তিনি। যে আহ্বানের বার্তা নানা মাত্রায় এখনও ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাভিশনে নিয়মিত অনুষ্ঠান করছেন ভালোবাসার প্রতীক ‘লাল গোলাপ’ শিরোনামে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তার মুখেই শোনা যাক কিছু কথা।
যে সর্বজনীনতার কথা বললাম সেটা আরও ব্যাপক হয়েছে ২০১৪ সালে এসে। ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার গ্রামগঞ্জে-মফস্বলে-রাজধানীতে। আমরা লক্ষ করছি, গুলশান-বনানীসহ বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রে ভালোবাসা দিন উপলক্ষে অনেক আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে কেএফসি তাদের ক্যালেন্ডার বের করে, যেখানে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে দুটি হার্ট এঁকে এ দিনটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে।
যদি আমার ক্ষমতা থাকতো তবে এই ভালোবাসা দিনটির জন্য চারটি জিনিস অবশ্যই করতাম।
এক. বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একটি ভালোবাসা কার্নিভালের আয়োজন করতাম।
দুই. বাংলাদেশের সব প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটি নিরাপদ ভালোবাসা পার্ক তৈরি করে দিতাম।
তিন. দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতাম।
চার. লখিন্দর বেহুলার শহর বগুড়াকে বিশ্বের এক নম্বর ভালোবাসার শহর হিসেবে ঘোষণা দিতাম।
আজকের ভালোবাসা দিনে যে বার্তাটি বিশেষ করে পৌঁছে দিতে চাই সেটা হলো, ফুল ও চকোলেটের পাশাপাশি প্রেমিক-প্রেমিকারা ইচ্ছে করলে দুটি তালা কিনে একে অপরকে লক করে চাবিটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে আরও শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন।
অনুলিখন: মাহমুদ মানজুর
/এমএম/