কণ্ঠ বা বাদক; যাই বলেন না কেন, পান্থ কানাই নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রেখে চলেছেন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যেমন মনভরে বাজিয়েছেন তেমনি গেয়েছেন গলা ছেড়ে। সম্প্রতি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও!
এমনই এক বহুমাত্রিক শিল্পী আসছে একুশে বইমেলায় হাজির হচ্ছেন নিজের জীবনের গল্প নিয়ে। লিখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। বইটি প্রকাশ করবে কিংবদন্তী পাবলিকেশন। চারু পিন্টুর প্রচ্ছদ অলঙ্করণে চলছে বইটির প্রি-অর্ডার।
বইটিকে ঘিরে এরমধ্যে সংগীতাঙ্গনে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাসের গল্প। বিশেষকরে প্রচ্ছদ প্রকাশের পর এটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার হচ্ছে দেদার।
রেকর্ডিং আর স্টেজ ব্যস্ততার মাঝেও পান্থ কানাই তার ৫০ বছরের জীবনের গল্প লিখতে সময় নিয়েছেন মাত্র ছয় মাস। কিন্তু কেন হঠাৎ নিজের জীবনের গল্প লিখতে বসলেন সদা দুরন্ত গানপাগল কানাই? জবাবে বললেন, ‘হঠাৎ মনে হলো জীবনটাকে খানিক পেছন ফিরে দেখি। দেখতে গিয়ে মনে হলো, অনেক গল্প! যে গল্পগুলো অন্যদেরও জানা দরকার। তাই লিখে ফেললাম।’
বইটির নাম পান্থ রেখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। তবে কি তিনি এ জীবনটাকে জেল বলছেন? এখনও কি তবে পরাধীনতার শেকলে বন্দী তিনি। অথচ তার জীবনের দিকে তাকালে মনে হবে, তিনি বরাবরই স্বাধীনচেতা মুক্ত পাখির মতো।
এদিকে প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন বইটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মানুষের জীবন কখনও কখনও সিনেমার চাইতেও রোমাঞ্চকর হতে পারে। এমনই একজন মানুষ পান্থ কানাই, যার জীবনের গল্পের মোড়ে মোড়ে রোমাঞ্চে কেঁপে ওঠে শরীর। কত উত্থান-পতন, কত কত সংগ্রাম― কত বাধা পেরিয়ে একজন পান্থ কানাই হয়ে উঠা! সব কিছু শুনতেই কেমন সিনেমাটিক মনে হয়। ইচ্ছে হয়― ইশ; আমিও যদি এমন একজন পান্থ কানাই হতে পারতাম। কিন্তু নিজের এই ইচ্ছেটা পূরণ করার সাধ্য তো আমার নেই। আমার সাধ্য আছে তার অতি সুন্দর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বইয়ের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে সাজানোর। আমি আমার এই সাধ্যতার প্রয়োগ করেছি― একজন পান্থ কানাইয়ের আত্মজীবনী ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’ কালো অক্ষরে ছাপিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। অমূল্য এই বইটির দাম ধরেছি ৩০০ টাকা মাত্র।’’
নাটক-সিনেমা-মঞ্চে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি পান্থ কানাই সাম্প্রতিক সময়ে ব্যস্ত রয়েছেন ‘কোক স্টুডিও বাংলা’ প্রজেক্টে।