নির্বাচনে মুখর এফডিসি, এলেন অমিতাভ-ফারুকী-সুমনরাও

দেশের সিনেমার আঁতুড়ঘর এফডিসি। একটা সময় এখানে দিনরাত শুটিং ব্যস্ততা লেগে থাকতো। নির্মাতা-শিল্পী-কুশলীদের আনাগোনায় জমজমাট থাকতো এখানকার অলিগলি, ফ্লোরগুলো। তবে সেই জৌলুসময় সময় অতীত হয়েছে অনেক আগেই। তাই এখন বেশিরভাগ সময় এফডিসিতে বিরাজ করে খাঁ খাঁ শূন্যতা।
 
এরমধ্যেও যখন কোনও সংগঠনের নির্বাচন বা বড় কোনও অনুষ্ঠান থাকে, তখন ফের মুখর হয়ে ওঠে কারওয়ানবাজারস্থ এই প্রতিষ্ঠানটির আঙিনা। যেমন আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এফডিসি মেতে উঠেছে নির্মাতাদের পদচারণায়। কারণ, চলছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন।
 
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। মাঝে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতি ছিল নামাজ-মধ্যাহ্নভোজের।
 
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নির্মাতারা যেমন এফডিসিতে উপস্থিত হয়েছেন, তেমনি ছুটে এসেছেন ভোটার নির্মাতারাও। যার যার পছন্দের প্রার্থীকে তারা ভোট দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মেতে উঠছেন গল্প-আড্ডায়। 

যারা এফডিসির বাইরে সিনেমা বানান, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারা সাধারণত এখানে আসেন না। তবে শুক্রবার পরিচালকদের নির্বাচনে অনেককেই দেখা গেলো এফডিসিতে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী থেকে শুরু করে অমিতাভ রেজা চৌধুরী কিংবা ‘হাওয়া’ খ্যাত মেজবাউর রহমান সুমন, অনেকেই এসেছেন ভোট দিতে। 

২০২৩-২৪ মেয়াদের এই দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ১৯টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪১ জন নির্মাতা। এরমধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন কাজী হায়াৎ ও মুশফিকুর রহমান গুলজার। আর মহাসচিব হওয়ার দৌড়ে আছেন শাহীন সুমন ও জাকির হোসেন রাজু। সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবুল খায়ের বুলবুল ও ছটকু আহমেদ।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৮৮। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল লতিফ বাচ্চু। তার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন পরিচালক বিএইচ নিশান ও শামসুল আলম।

সভাপতি প্রার্থী দুজনই আশা ব্যক্ত করেছেন, পরিচালকরা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। বিজয়ী হলে তারা পরিচালকদের স্বার্থ রক্ষা এবং সিনেমার সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কার গলায় শোভা পায় বিজয়ের মালা, তা জানার জন্য রাত অব্দি অপেক্ষা করতে হবে।