ফিরে দেখা ২২, স্বাগতম ২৩

‘আসুন আমরা গালাগালমুক্ত একটা সংস্কৃতি তৈরি করি’

মহাকালের চিরন্তন নিয়মে সময় বয়ে যায়, দিন-সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে বছর যায়, ক্যালেন্ডার পরিবর্তন হয়ে আসে নতুন বছর। এর মাঝেই মানুষের জীবনে হয় উত্থান-পতন, আসে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা। মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে ২০২২ সালে মানুষ পুরোদমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলো। এই বছরটাও শেষ হয়ে গেলো। কেমন গেছে বছরটি? আর নতুন বছর নিয়েও বা পরিকল্পনা-প্রত্যাশা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যোগাযোগ করা হয় দেশের শোবিজ তারকাদের সঙ্গে।

এ আয়োজনে রইলো প্রিন্স মাহমুদের কথা-

ফিরে দেখলে ২০২২ বছরটা আমার জন্য বেশ কর্মময় ছিলো। মানে হিসাব করলে তৃপ্তির পরিমাণটাই বেশি। এ বছর আমার সুরে অন্যতম গান ছিলো একদল নতুন ছেলের কণ্ঠে শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে আটক ঘটনায় উদ্বেগ থেকে করা ‘গ্লানি’ গানটি। 

এ ছাড়াও বছরের প্রথম দিনে তানযীর তুহিনের কণ্ঠে ‘হে অনাগত’ এবং  ইমরান ও ঋতুরাজের কণ্ঠে ‘মা আমার সঙ্গে থাকে’ এবং প্রায় ২২ বছর পর মাকসুদের কণ্ঠে ‘সাতে পাঁচে’ তৈরি করে ভালো লেগেছে। শ্রোতারা ভালো সাড়া দিয়েছেন। 

বছর শেষে আমার সুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া ‘বিজয় মানে আজও লাল সবুজে আছো’ গানটি প্রকাশ হয়। গেয়েছে কণা, তাসফি, রিয়াদ ও সাদি। গানটি মাত্র ১০ দিনে ফেসবুকে প্রায় ১৮ লাখ এবং ইউটিউবে ১০ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। এ গানটির ভিডিও পরিচালনায় ছিলেন অমিতাভ রেজা। এগুলো ভালোলাগার বিষয়। তাই শেয়ার করা। এটাই তো আসলে আমার প্রাপ্তি বা তৃপ্তি।

নতুন বছরে এসেও খুব বেশি কাজ করার পরিকল্পনা নেই। খুব অল্প কিছু গান প্রকাশের ইচ্ছে আছে। যথারীতি এবারও মনের বিরুদ্ধে কিছু করবো না।

আর মানুষের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, দেশের বাইরে কী হচ্ছে এসবের অজুহাত উদাহরণ না টেনে গালাগালমুক্ত একটা সুস্থ সংস্কৃতি চাই। আর কিছু না। আমি আপনার মতামত পছন্দ করি না, বিশ্বাস করি না। তার মানে তো এই নয় আমি আপনাকে গালাগাল দেবো। বিশেষ করে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এসব দেখলে আমি প্রচণ্ড অসহায় হয়ে পড়ি। ফলে নতুন বছরে আমি আবেদন করি সবার প্রতি, আসুন আমরা ঘৃণা বা গালাগালমুক্ত একটা সুন্দর সংস্কৃতি তৈরি করি।