দুঃসহ দিনেও দায়িত্বে অবিচল পরী

কুয়াশায় ঢেকে আছে নগরীর চারপাশ। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিলো ১৫ ডিগ্রিতে। এমন হাড় কাঁপানো শীতের সকালে বেরিয়ে পড়লেন পরীমণি। ছুটে গেলেন ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। উদ্দেশ্য- নিজের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’র প্রচারণা চালানো।

বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজের ক্যাম্পাসে গেছেন পরী। সেখানে তাকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে তাল মেলান পরী নিজেও। আনন্দঘন সেই মুহূর্তের এক টুকরো ক্যামেরায় ধারণ করে ছেড়েছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।

পরীমণির মতে, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার মূল দর্শক এই শিক্ষার্থীরাই। যারা বয়সে এখনও কিশোর, তরুণ, তাদের গল্পেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। তাই মুক্তির আগেই তাদের কানে ছবিটির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন নায়িকা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধারণ করা ভিডিওটির সঙ্গে পরী বলেছেন, “আমাদের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’র প্রধান দর্শকেরা, অনেক ভালোবাসা আপনাদের জন্য। দেখা হবে সিনেমা হলে, আসছে ২০ জানুয়ারি।”

গত কিছুদিন ধরে দুঃসহ সময় পার করছেন পরীমণি। ব্যক্তিগত জীবনে বয়ে যাচ্ছে ঝড়। অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে তার সংসারে চিড় ধরেছে। দুজনেই বলেছেন, আর সংসার করবেন না। রাজের বিরুদ্ধে ‘মারধরের’ অভিযোগ পর্যন্ত তুলেছেন পরী। অন্যদিকে রাজও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আর সম্ভব নয়। ফলে রাজ-পরীর এক বছরের বন্ধন এখন প্রায় ছিন্ন।

এমন বৈরি সময়েও বসে নেই পরী। দায়িত্ববোধ থেকেই ছুটে গেছেন সিনেমার প্রচারে। ছোট্ট সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যকে সামলে পরীর এমন শীত সকালে বেরিয়ে পড়াকে সাধুবাদ দিচ্ছেন অনেকে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ নির্মাণ করেছেন আবু রায়হান জুয়েল। এটি নির্মিত হয়েছে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে ছবিটি।

এতে পরীমণির সঙ্গে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও আবু হুরায়রা তানভীর। এছাড়াও আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আজাদ আবুল কালাম, কচি খন্দকারসহ অর্থশতাধিক শিশু। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।