কানাডা থেকে ছেলের অবস্থা জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ

নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। পড়াশোনার জন্য থাকেন কানাডায়। সেখানেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছেন গুরুতর আহত। খবরটি পেয়েই বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে উড়াল দেন গায়ক।

দূরদেশ বিধায় সঠিক খবরাখবর নেওয়া তার কাছের মানুষজনের জন্য যেমন কঠিন, একই চিত্র গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর নাগাদ জানা যায়, দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা বাকি তিনজন মারা গেছেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন নিবিড়। টরন্টোর স্থানীয় হাসপাতালেই চলছে তার চিকিৎসা।

এদিকে ছেলের কাছে গিয়ে অবশেষে তার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। দেশের সংগীতাঙ্গনের একাধিক ব্যক্তিকে তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন, নিবিড়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বলেছেন, ‘বিশ্বজিৎ জানালো- নিবিড় আগের চেয়ে ভালো আছে। আলহামদুলিল্লাহ। চলুন দোয়া জারি রাখি। দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্তর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

একই খবর দিলেন সংগীতশিল্পী কিশোর দাসও। তার সঙ্গেও কথা হয়েছে কুমার বিশ্বজিতের। সেই সূত্রে কিশোর বলেন, ‘নিবিড়ের অবস্থা উন্নতির দিকে। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় নিবিড় গতকালকের চেয়ে এই মুহূর্তে ভালো আছে। নিবিড়ের কাকা অভিজিৎ দা ও ওর বাবা কুমার বিশ্বজিৎ স্যারের সঙ্গে কথা হলো। আগামী ৬ ঘন্টার ভেতর নিবিড়ের সার্জারি হবে।’

নিবিড়ের জন্য প্রার্থনা এবং গুজব না রটানোর অনুরোধ জানিয়ে কিশোর বলেছেন, ‘ঈশ্বর ওকে বাবা-মার কোলে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে দিক। সবাই ওকে আপনাদের আশীর্বাদ ও দোয়ায় রাখবেন। আর কেউ এই বিষয়ে ভুল কোনও তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না, এই অনুরোধ রইলো।’

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, টরন্টোর স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন নিবিড়। আরোহী ছিলেন শাহরিয়ার, অ্যাঞ্জেলা ও আরিয়ান। খুব দ্রুতগতিতে চলার কারণে এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠতে টার্ন নেওয়ার সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে গাড়িটি হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজন আরোহী মারা যান।

হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত তিনজনও বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেছেন।