রঞ্জনা, মালা, ম্যারিঅ্যান, বেলা বোস- গানগুলো শুনলে অচিরেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে একটি চেহারা। তিনি অঞ্জন দত্ত। অসাধারণ কথা-সুর-কণ্ঠে গান গেয়ে দুই বাংলা জয় করে আছেন চার দশক ধরে। শুধু গান নয়, নির্মাণ আর অভিনয়েও তিনি দুর্দান্ত প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
সেই অধরা তারকা অঞ্জন দত্ত নিজেই নেমে এলেন ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ মাতাবেন গানে-গল্পে। শুক্রবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এলেন অঞ্জন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গাইবেন তিনি।
অথচ সেই মঞ্চটিকে ঘিরে সকাল থেকেই পিপাসু ভক্ত-শ্রোতাদের আনাগোনা। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ঘন হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেটি কানায় কানায় পূর্ণ। যেন উপচে পড়ছে অঞ্জন ভক্তদের ঢেউ।
সাভার থেকে অঞ্জন দত্তের গান শুনতে ক্যাম্পাসে এসেছেন সাথী আক্তার। তিনি বলেন, ‘দুপুরের পর পর এসেছি। তারপরও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে মুক্তমঞ্চ। এতদিন মোবাইল কিংবা টেলিভিশনে তার গান শুনেছি। এখনও সামনাসামনি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আজ হয়তো সেটা পূর্ণ হবে।’
এদিকে দুপুরের পর মুক্তমঞ্চ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যায় পরিবেশনা শুরু হবার কথা থাকলেও দুপুরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা। কেউ আগে আগে এসে নিজের বসার জায়গাটি নিশ্চিত করতে চালাচ্ছেন জোর প্রচেষ্টা। কেউ হল থেকে ডেকে আনছেন বন্ধুদের। আবার ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও এসেছেন অসংখ্য দর্শক। ফাঁকা থাকা মুক্তমঞ্চ দুপুরের পর এক নিমিষেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সব মিলিয়ে মুক্তমঞ্চ এলাকায় বিরাজ করছে এক উৎসবের আমেজ।
১৯৫৩ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জন দত্ত। দার্জিলিংয়ে ছেলেবেলা পার করেন। ১৯৮১ সাল থেকে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন ও ১৯৯৮ সাল থেকে সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন। সঙ্গে গানের কাজটা রয়েছে নিয়মিত। ২০১১ সালে নিজের নির্মিত ও অভিনীত ‘রঞ্জনা আমি আর আসবো না’ সিনেমাটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।