টানা ২১ দিন আইসিইউতে। এরমধ্যে হয়েছে অস্ত্রোপচারও। মাঝে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও সেটি সামান্যই। এরপর আর কোনও সুখবর মিলছে না কানাডার টরন্টো শহর থেকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন তিন বন্ধু। তিন জনই বাংলাদেশী। ঘটনাস্থলেই দুজন আর হাসপাতাল নেওয়ার পর মারা যান অপর বন্ধু। নিবিড় বেঁচে গেলেও ২১ দিন ধরে পাঞ্জা নড়ছেন জীবনের সঙ্গে আইসিইউতে।
ঘটনার পরদিনই কানাডায় উড়ে যান কুমার বিশ্বজিৎ। এখনও রয়েছেন সেখানেই। ব্যস্ত এই শিল্পীর দিন-রাত এখন কাটছে হাসপাতালে বিষণ্ণ পায়চারি করে। শিল্পীর সঙ্গে ঢাকা থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারই অনুসারী সংগীতশিল্পী কিশোর দাস।
সোমবার (৬ মার্চ) তিনি বলেন, ‘নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। এখনও ভর্তি আছেন টরন্টোর হাসপাতালে। মাঝে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেটুকুই। গতকালও (রবিবার) স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনও উন্নতির খবর দিতে পারেনি।’
কানাডার টরন্টো নগরীর অদূরে ৪২৭ হাইওয়ের দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে। সেই গাড়িতে কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের সঙ্গে আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনাস্থলে দু’জন আর হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যান। নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। তারা সবাই পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ থেকে কানাডায় গিয়েছিলেন।