মুখের একপাশ বেঁকে গেছে তাসরিফ খানের

তরুণ গায়ক তাসরিফ খানের ঠোঁটের কোণে হাসিটা লেগে থাকে সর্বদা। আবার গান ও মানবিক কাজে অন্যদের মুখেও হাসি ফোটাতে ভালোবাসেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার (৭ মার্চ) যা জানালেন, তাতে তার ভক্তদের মুখ মলিন হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাসরিফ। তার মুখে দেখা দিয়েছে ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’ নামের এক অসুখ।
 
বিষয়টি নিয়ে দুদিন আগেই সোশাল হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন তাসরিফ। তবে মঙ্গলবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পর বাংলা ট্রিবিউনকে দিলেন বিস্তারিত তথ্য। তার ভাষ্য, ‘ডাক্তার এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। অন্তত একমাস চিকিৎসার পর বলা যাবে। আপাতত মাস দুয়েক আমাকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। ফলে ঈদের আগে কোনও গানের কাজই করতে পারবো না।’

অসুস্থতার বর্ণনা দিয়ে তাসরিফ বলেন, ‘মুখের একপাশ কিছুটা বেঁকে গেছে। তিন দিন আগেই বিষয়টা খেয়াল করি। যদিও সামনে থেকে সহজে এটা বোঝা যায় না। কিন্তু কথা বলার সময় বোঝা যায়। ডাক্তার জানিয়েছেন, এই রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। অল্প কিছু মানুষকে রোগটা বয়ে বেড়াতে হয়। এখন দেখা যাক কী হয়। আপাতত ফিজিওথেরাপি নিতে হবে আর কিছু ওষুধ চলবে।’

এদিকে অসুস্থতায় গানবাজনায় বিরতি হলেও একেবারে বসে থাকার অবকাশ নেই তাসরিফের। কারণ, তিনি মানবিক কিছু কাজও করেন। জানালেন, ভোলার এক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের কথা দিয়েছিলেন। সেই কাজে শিগগিরই ভোলায় যেতে হবে তাকে।
 
সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন তাসরিফ ও তার দলবিষয়টি নিয়ে তার ভাবনা এরকম, ‘ওই মানুষটা তো আমার চেয়েও অসুস্থ। তাই যেহেতু কথা দিয়েছি, তার চিকিৎসার জন্য অর্থ জোগাড়ের কাজটা করবো।’

উল্লেখ্য, তাসরিফ খান মূলত ‘কুঁড়েঘর’ নামের একটি গানের দল পরিচালনা করেন। তরুণ শ্রোতামহলে তাদের গান পরিচিতি পেয়েছে। গেলো বছর সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যার সময়ে ত্রাণ সহায়তায় কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন এই তরুণ।