মামানামা- আউট অব দ্য বক্স 

ফারুকীর মনে যেভাবে এসেছিল ‘শনিবার বিকেল’ ভাবনা

দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই কোনও সিনেমা নিয়ে এত আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক হয়েছে কিনা, যেমনটা হয়েছে এবং হচ্ছে ‘শনিবার বিকেল’র ক্ষেত্রে; তা বলা মুশকিল। চার বছর ধরে এটি সেন্সর জটিলতায় আটকে আছে। ছবির নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ছাড়পত্রের দাবি জানিয়ে আসছেন বিরামহীন। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের সিংহভাগ মানুষও এর মুক্তির পক্ষে আওয়াজ তুলেছে। তবু প্রায় নির্বিকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

এরমধ্যেই ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পেয়েছে দেশের বাইরে, উত্তর আমেরিকায়। গত ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৭১টি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেখানে প্রচুর দর্শক এটি দেখে তাদের ভালোলাগা জানিয়েছেন।

কিন্তু একটি বিষয়ে নিশ্চয়ই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, কবে কীভাবে এই ‘শনিবার বিকেল’র জন্ম হয়েছিল? অজানা সেই গল্পই এবার শোনালেন ফারুকী। বলা বাহুল্য, ছবিটি নির্মিত হয়েছে ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার ছায়া অবলম্বনে।

ফারুকী জানালেন, যে সন্ধ্যায় হোলি আর্টিজানে হামলা হয়, ওই সময় তিনিও ওই রেস্তোরাঁয় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে কাছাকাছি গিয়েই ফিরে আসেন। এরপর নিজের অফিসে ফিরে জানতে পারেন ঘটনাটি।

বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত সেলিব্রেটি শো ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’-এ যুক্ত হয়ে সেদিনের সেই সন্ধ্যার পুরো বর্ণনা দিয়েছেন ফারুকী। সঞ্চালক হয়ে তার কথাগুলো শুনেছেন মাহমুদ মানজুর। প্রযোজনায় জনি হক।

ফারুকী বললেন, ‘আমি ওই ঘটনায় থাকতে পারতাম, এজন্যই ছবিটা বানিয়েছি; এমন নয়। না থাকলেও আমি নিশ্চিত, একই রকম দমবন্ধ একটা অবস্থা আমার মধ্যে তৈরি হতো। ওই সন্ধ্যায় যে দমবন্ধ অনুভূতি আমার হয়েছে, পরবর্তী তিন মাস তা আমাকে ছাড়েনি। প্রতি রাতে আমার পায়ের তালু গরম হয়ে যেতো। আমি তিশাকে বলতাম, আমাকে কিছু করতেই হবে। এটার ওপর একটা ছবি বানাতেই হবে। প্রতিদিন রাতে ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে এগুলো বলতাম।’

‘শনিবার বিকেল’র নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কীভাবে, তা-ও জানালেন ফারুকী। তার ভাষ্য, “একদিন সবাই বৈঠকে বসলাম। আমি বললাম, একটু ওয়াশরুমে যাচ্ছি, এসে তোমাদের সঙ্গে কথা বলবো। ওয়াশরুম থেকে এসে আমি সোজাসুজি বললাম, তিশা আমি এই সিনেমাটা বানাবো। এবং একটি শটেই বানাবো। এর মাধ্যমেই ‘শনিবার বিকেল’র জার্নিটা শুরু হয়েছিল।”

আলোচিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, নাদের চৌধুরী, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং জার্মানির ট্যান্ডেম প্রোডাকশন।

মামানামা-য় ফারুকীর পুরো সাক্ষাৎকার: