নিজের কাজের বাইরে দেশ, মানুষ ও সমাজের নানা প্রসঙ্গেই কথা বলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এটি সৃষ্টিশীল মানসিকতার একটি দায়ও বটে। অধিকাংশ শিল্পী এ দায় এড়িয়ে চললেও ফারুকী বরাবরই থাকেন সরব। ব্যতিক্রম ঘটেনি সাম্প্রতিক আলোচিত আরাভ খান ইস্যুতেও।
পুলিশ হত্যা মামলার আসামির তালিকায় থাকা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দেশ থেকে পরিচয় গোপন করে পালিয়েছেন। এরপর দুবাইতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে। সম্প্রতি তার পরিচয় ফাঁস হয়েছে।
আরাভ খানের মধ্যে নিজের সৃষ্ট ‘মন্টু’ চরিত্রের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন ফারুকী। যেই ‘মন্টু’কে দেখা গেছে ২০০৭-৮ সালে তার নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘৪২০’-এ। এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ করিম।
বিষয়টিকে তিনি ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, “আমাদের রাষ্ট্রের গহিন গোপন অসুখের নামই রবিউল! বায়োপসি করলে দেখা যাবে এই অসুখের তলে লুকিয়ে আছে কোন সব জীবাণু! আমি তাকে দেখি ‘ফোর টোয়েনটি’র মন্টুর ভিন্ন ভার্সন হিসেবে।”
বুধবার (২২ মার্চ) রবিউল ইস্যুতে ফারুকী সোশাল হ্যান্ডেলে আরও বলেছেন, ‘বিভিন্ন লাইভে এসে যে সে তার ক্ষমতার অশ্লীল দম্ভ দেখাচ্ছিল, সেটাও হয়তো জীবাণুর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি তার ছুড়ে দেওয়া প্রশ্ন। প্রত্যেকটা রাষ্ট্র কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়। যখনই সেখানে কোনও অনিয়ম হয়, তখনই সেটা রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দুর্নীতি হলে, টাকা লুটপাট হলে, মানুষের হক কেড়ে নিলে, বিনা বিচারে মানুষ মারলে, বিচার না হলে- এরকম অনিয়মের যত বড় তালিকা করেন, প্রত্যেকটা অনিয়মই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। রবিউলের কেইসও সেরকমই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দেখার বিষয়, রাষ্ট্র সেই প্রশ্নের কী উত্তর দেয় এবং বায়োপসিতে কে বা কারা বের হয়ে আসে। পপকর্ণ নিয়ে আমরা গ্যালারিতে বসলাম।’
ছবিটি সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার ৭১টি হলে মুক্তি পেয়েছে। সাড়া মিলছে ভালোই। তবু অপেক্ষায় ফারুকী, দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দেওয়ার।
‘৪২০’ ধারাবাহিকটি দেখা যাবে এখানেই: