বাবা দিবসে বিশেষ

এক মুহূর্তও বাবাকে ছাড়া থাকতে চাই না: জোভান

বাবা- দ্য আনসাং হিরো। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বাবা থাকেন মজবুত খুঁটি হয়ে, পরম আশ্রয় হয়ে। অনেকটা শক্তির পেছনে রক্তের প্রবাহের মতো। তাই বাবাদের গল্প, ত্যাগ আর ভালোবাসাগুলো বরাবরই থাকে আড়ালে। সেই আড়ালের খোলস কিছুটা উন্মোচিত হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবারে; কারণ এ দিন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস।

আজ রবিবার (১৮ জুন) বাবা দিবসে বাংলা ট্রিবিউন বাবার সঙ্গে তারকাদের সম্পর্কের গতিবিধি জানার চেষ্টা করেছে। এ পর্বে নিজের গল্পটা শুনিয়েছেন টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান...

তার বাবার নাম কবির আহমেদ। দীর্ঘ দেড় দশক যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর গেলো বছর ফিরেছেন দেশে। আপাতত ঘরেই থাকেন, পরিবারকে সময় দেন। বাবার সঙ্গে জোভানের বর্তমান সম্পর্কটা মসৃণ, বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে কিছুটা অতীতে গেলে পাওয়া যাবে ভিন্ন চিত্র।

সেটা কেমন? শুনুন জোভানের ভাষ্যে, ‘বাবা যখন দেশের বাইরে ছিলেন, তখন অটোমেটিকলি একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কথা কম হতো। ভিডিও কলে দেখা কম হতো। কিন্তু যখন তিনি দেশে ফিরে আসলেন, এয়ারপোর্টে যখন তার সঙ্গে দেখা হলো, তখন পনেরো বছরের সব অভিমান, দূরত্ব ঘুচে গেছে।’

কিন্তু এতদিনের অভিমান ভাঙল কীভাবে? জোভান বললেন, ‘তিনি এসে যখন জড়িয়ে ধরলেন, তখনই সব কিছু ভুলে গেছি। এরপর থেকে এতো সুন্দর সম্পর্ক বাবার সঙ্গে, একদম বন্ধুত্বপূর্ণ। তার অনুপস্থিতির মর্মটা এখন উপলব্ধি করি, অভিমান করে কথা না বলে থাকাটা ভুল ছিল। আমারই কথা বলা উচিত ছিল।’

বাবা কবির আহমেদ ও ছেলে ফারহান আহমেদ জোভানযদিও কথা না বলাটা ইচ্ছাকৃত ছিল না বলেই জানালেন জোভান। বাবা দেশের বাইরে যাওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর প্রতিদিনই কথা হতো। পরে ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধান বাড়ে, আর কথা কমে। তবে এখন সব ব্যবধানের দেয়াল ভেঙে বাবা-ছেলের মধুর সম্পর্ক।

শুধু তাই নয়, বাবার কাছ থেকে পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন জোভান। এ নিয়ে অভিনেতার বক্তব্য, ‘আমি ২০১১ সাল থেকে কাজ করছি। তবে নিয়মিত কাজ করছি ২০১৫-১৬ থেকে। তখন থেকেই আমি পরিবারে কন্ট্রিবিউট করা শুরু করেছি। ধরেন প্রথমে টেন পার্সেন্ট ছিল, ধীরে ধীরে সেটা বেড়েছে; এখন পরিবারের শতভাগ দায়িত্ব আমি বহন করি। আর এটা আমার কাছে আশীর্বাদ মনে হয়। বাবা-মার জন্য কিছু করতে পারা, সবার ভাগ্যে জোটে না।’

সবশেষে বাবা দিবস উপলক্ষে বাবার উদ্দেশে জোভানের বার্তা, ‘প্রথমত, আমি অবশ্যই সরি। কারণ ওই দূরত্ব তৈরির পেছনে আমারও দোষ ছিল। আর বাকি জীবনে আমি এক মুহূর্তও বাবাকে ছাড়া থাকতে চাই না। তিনিই হবেন আমার হায়েস্ট প্রায়োরিটি।’