পিলু খানকে বলা হয় দেশের হাতে গোনা কয়েকজন জাত মিউজিশিয়ানদের একজন। যার মূল পরিচিতি ব্যান্ড রেনেসাঁর অন্যতম সদস্য হলেও সুরকার হিসেবে তার সুনাম বয়ে চলছে চার দশক ধরে। অথচ সেই মানুষটি ২০১৭ সাল থেকে দেশ ছেড়ে পড়ে ছিলেন দূর পরবাসে। প্রথমে মালয়েশিয়া, পরে আফ্রিকার দেশ ঘানায়।
প্রায় ছয় বছরের প্রবাস জীবন শেষে সম্প্রতি এই সংগীতজন দেশে ফিরেছেন। ব্যস্ত হয়েছেন পুরোনো রুটিনে। রুটিন মানে ব্যান্ড রেনেসাঁর গান তৈরি আর শোয়ের পরিকল্পনা। সঙ্গে একক শিল্পীদের জন্য বেশ কিছু প্রজেক্ট। তারচেয়েও বড় খবর, পিলু খান লম্বা বিরতির পর থিতু হলেন দেশে ও সংগীতে।
তার ভাষায়, ‘বিদেশে থাকতেও মিউজিকের সঙ্গেই ছিলাম। ঘরে নিজের ছোট একটা সেটআপ ছিল। তবে সেটা আসলে সময় কাটানোর মতো। আমরা যারা ব্যান্ড অন্তপ্রাণ, তারা তো আসলে শেয়ারিং পছন্দ করি। বিদেশে থেকে তো সেটা সম্ভব ছিল না। তাই কাজ করে আসলে তৃপ্তি পেতাম না। স্বস্তির বিষয়, দেশে স্থায়ীভাবে ফিরেছি প্রায় ৬ বছর পর। এখন নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে চাই।’
পিলু খান বলেন, ‘৬ বছর দেশের বাইরে থাকার কারণে অনেক গানের কাজ ইচ্ছে থাকলেও করতে পারিনি। আবার অনেক গান হাতে নিয়েও শেষ করতে পারিনি। এটা একজন সুরকার হিসেবে আমার জন্য খানিক বেদনার। তবে এখন যেহেতু স্থায়ীভাবেই দেশে ফিরেছি, আশা করছি আবারও ছন্দে ফিরবো। এবং আমি যে দেশে ফিরেছি সেই খবরটিও অন্যদের নিশ্চিত করতে চাই। কারণ, অনেকেই ভাববেন আমি সম্ভবত বিদেশে ব্যস্ত!’
পিলু খান প্রথম স্টেজ পারফর্ম করেছিলেন ১৯৭২ সালে। তারা তিন ভাই (জালাল উদ্দীন খান, নকীব খান ও পিলু খান) পারফর্ম করেছিলেন একমঞ্চে। তাদের ব্যান্ড ছিল ‘বালার্ক’ নামে। ‘বালার্ক’ বাংলা শব্দ। এর অর্থ প্রথম সূর্য বা নবোদিত সূর্য বোঝায়। স্বাধীনতার আগেই ছিল ব্যান্ডটি। ৭২ সালে কক্সবাজারে তারা একটা শো করেন। সেখানেই মঞ্চে উঠে প্রথম ড্রামস বাজান পিলু খান।
জানা গেছে, রেনেসাঁর প্রধান দুই কম্পোজার নকীব খান ও পিলু খান ভ্রাতৃদ্বয়ের হাতে অন্তত ২০টি গান হাফ-ডান গান পড়ে রয়েছে ব্যান্ডের। পিলু খান দেশে ফেরার পর সেই গানগুলো ক্রমশ প্রাণ পাচ্ছে। যার প্রতিধ্বনি মিলবে নিকট আগামীতে।